টুটুলের বিরুদ্ধে ফেন্সিসহ নানা অভিযোগ বিসিসি কাউন্সিলরের

টুটুলের বিরুদ্ধে ফেন্সিসহ নানা অভিযোগ বিসিসি কাউন্সিলরের
মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুলের বিরুদ্ধে ফেন্সিসহ নানা অভিযোগ তুলেছেন ৩০ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. আজাদ হোসেন কালাম মোল্লা। কালাম মোল্লার নির্মাণাধীন স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার পর এক ভিডিও বার্তায় ওইসব অভিযোগ করেছেন কাউন্সিলর কালাম মোল্লা। তবে নিরব হোসেন টুটুল তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিাবাত সাদিক আাবদুল্লার সহানুভূতি কামনা করে ওই ভিডিওতে কালাম মোল্লা অভিযোগ করেন, টুটুলের নির্দেশে তার নামে মামলা করা হয়েছে। একজন ফেন্সি বিক্রেতার সঙ্গে যোগসাজসে এক সময় অন্য দলে থাকা টুটুল আওয়ামী লীগের যোাগদান করে। যোগদান করেই আওয়ামী লীগ কর্মীদের হেনন্থা করছে। পোর্ট রোডের একসময়ে বশির আজকের টুটুল হয়ে শ্রমিকদের লাঞ্ছিত করেছে। মেয়র টুটুলকে ক্ষমতা দেওয়ার কারণেই টুটুল এমনসব কর্মকা- চালাচ্ছে। গত রোববার রাতে কাউন্সিলর কালাম মোল্লার ফেসবুক ওয়ালে একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। ওই ভিডিওতে কালাম মোল্লা বলেছেন, তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ ভিত্তিহীন। ভিডিও বার্তায় মেয়রের কাছে নিজেকে আওয়ামী লীগ পরিবারের সদস্য দাবি করেন তিনি। আপলোড করা ভিডিওটিতে কালাম মোল্লা যা যা বলেছেন তার কিছু অংশ পাঠকদের কাছে তুলে ধরা হলো। ‘মেয়র মহোদয় কি অন্যায় করেছি আমি, আমি মাসুদ রানার গায়ে কোন হাত দেইনি, শুধু একটু তর্কই হয়েছে। আপনিতো নিজেও এসে আমাকে জিজ্ঞেস করতে পারতেন এবং আমাকে গাল মন্দ আপনি নিজে দিতে পারতেন। কেন আপনার কর্মচারী দিয়ে আমাকে (একজন কাউন্সিলরকে) অপমানিত, লাঞ্ছিত করালেন। তারা আপনার কাছে মিথ্যা বলে আমার ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকার ক্ষতি করিয়েছে। আমার স্থাপনা ভাঙার আগো কোন ধরণের নোটিশ দেওয়া হয়নি। নিজের অর্থে সম্পত্তি কিনেছি। আমি অবৈধ কোন স্থাপনা করিনি। আমার ভাবতে অবাক লাগে মেয়র মহোদয়, আপনি এত নিষ্ঠুর হলেন কিভাবে মেয়র মহোদয়। আপনি সরেজমিনে আসেন তদন্ত করে দেখেন যে আমি অন্যায় করেছি না করিনাই।’ ভিডিওটিতে তিনি ধর্মের দোহাই দিয়ে বলেছেন ‘আমি (কালাম মোল্লা) টুটুলের নির্দেশে তার নামে মামলা হয়। যেই টুটুল ফেন্সি সবেদের সাথে থেকে আওয়ামী লীগে যোগদান করে কর্মীদের হেনস্থা করছে। আমার শ্রমিকের গায়ে হাত দিয়েছে (পোর্ট রোডের বশির নামে) এই টুটুল। কউনিয়া শাখা শ্রমিকদের হুমকি দিয়েছে পুলিশ দিয়ে ধরাবে, বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়েছে এই টুটুল। কি টুটুলকে আপনি কতবড় পওয়ার দিয়েছেন মেয়র মহোদয়। বলেন আপনি বলে দেন আমি আর প্রয়োজনে আপনার পরিষদে আসবো না।’ ভিডিওটিতে তিনি আরো উল্লেখ করেছে, ‘আমার ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে আপনার সুনাম হয়েছে। আমি আমার এলাকায় মেয়রের সুনাম বাড়িছি। এলাকা থেকে জুয়াখোর ইভটিজিং মাদক বিভিন্ন অবৈধ কর্মকান্ড তাড়িয়ে দিয়েছি। ‘আমার ভাবতে অবাক লাগে মেয়র মহোদয়। আমি কি অন্যায় করেছি মেয়র মহোদয়, আপনি নিজ হাতে আমাকে শাস্তি দিতেন, কেন আপনি না জেনে না শুনে না তদন্ত করে আমার স্থাপনা ভেঙে দিয়েছেন, আমার ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। তাতে কি আপনার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়নি। আমি কি আওয়ামী লীগের লোক না? আমার আর কিছু বলার নাই। আপনি নিজে সরজমিনে আসেন, আইসা দেখেন, দেইখা এটার বিচার করেন।’ মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক রিব হোসেন টুটুল গতকাল রাতে ভোরের আলোকে বলেন, ‘আমি কালাম মেল্লার বিরুদ্ধে কোন মামলা করাইনি। কালাম মোল্লা ভিডিওতে যা বলেছে তা ভিত্তিহীন। কোনখানে তার জায়গা আছে তাও আামি জানি না। সেটা বৈধ কি অবৈধ তাও জানি না। কালাম মোল্লা ভূমি দস্যু। তাঁর স্থাপনাও আমি ভাঙিনি। সিটি করপোরেশন তার অবৈধ স্থাপনা ভেঙেছে।