ডিসির ভাই হতে পারলো না মেয়র

বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীমউদ্দিন হায়দার এর ভাই লুুৎফুল হায়দার লেনিন মেয়র হতে পারেনি।
গত রোববার ১৬ জানুয়ারী নোয়াখালী পৌরসভার নির্বাচনে অংশ নিয়ে লুৎফুল লেনিন পরাজিত হয়।
নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে বরিশাল জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) জসিম উদ্দিন হায়দারের ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী লুৎফুল হায়দার লেলিন নির্বাচন করেন। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লুৎফুল হায়দার লেনিন মোবাইল প্রতীকে ভোট পায় ২ হাজার ২৪৪ ভোট। জয়ী প্রার্থী নৌকার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয় শহিদ উল্যাহ খান সোহেল। তিনি ভোট পেয়েছেন ২৬ হাজার ৪০৮ তার নিকটতম প্রার্থী বিএনপির প্রার্থী পেয়েছেন কম্পিউটার প্রতীকে ৮হাজার ৬২৮।
উল্লেখ্য, নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারে অংশ নেওয়ার অভিযোগ উঠে বরিশাল জেলা প্রশাসনের চার কর্মচারীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় নোয়াখালী জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এলএ শাখার উচ্চমান সহকারী মাহফুজুর রহমান সুজনের (কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সভাপতি) নেতৃত্বে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সমিতির সভাপতি, জেলা প্রশাসকের গাড়িচালক ও বডিগার্ড সোমবার দুপুর ২টায় নোয়াখালীতে আসেন। রাতে তাঁরা নোয়াখালী কালেক্টরেট সহকারী সমিতির কার্যালয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকে নোয়াখালী কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় বরিশাল কালেক্টরেট সহকারী সমিতির সভাপতি মাহফুজুর রহমান সবুজ সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে সংগঠনের নোয়াখালীর সদস্যদের ব্রিফ করে বলেন, ‘বরিশালের জেলা প্রশাসক প্রধানমন্ত্রীর লোক। আমাদের কর্মচারীদের সব দাবিদাওয়া তাঁর মাধ্যমে আদায় করা যাবে। তাঁর ভাই লুত্ফুল হায়দার লেনিন এখানে মোবাইল মার্কা নিয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। তাই পৌর নির্বাচনে লেনিনের পক্ষে ভোট করার জন্য নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের কর্মচারীদের আহ্বান জানাই।’ কিভাবে প্রচারণা করবেন, সে দিকনির্দেশনাও দেন তিনি। তাঁরা জেলা সার্কিট হাউসে রাত যাপন করেন। এ ঘটনায় তোপের মুখে পড়েন বরিশালের জেলা প্রশাসক জসীমউদ্দিন হায়দার।’ এ ঘটনায় সদর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাফিজুল হক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অমৃত দেবনাথ তদন্তসহ কমিটিও গঠন করা হয় ।
গত ২০২১ এর ৩ জানুয়ারি বরিশাল জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জসীমউদ্দিন হায়দার।