তামাশার নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না

কাটাছেঁড়া সাজানো সংবিধানে আওয়ামী লীগের তামাশার নির্বাচন বিএনপি হতে দেবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর উত্তরায় বিএনপির এক পদযাত্রার পর্বে এক সমাবেশে সরকারের প্রতি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের মন্ত্রীরা বলেন বর্তমান সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হবে। কোন সংবিধান? যে সংবিধান কাটাছেঁড়া করে একটি পাতানো নির্বাচনের জন্য সাজিয়ে নিয়েছে আওয়ামী লীগ? যে নির্বাচনে ভোট দিতে যায় না মানুষ। এর আগের নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে কুকুর শুয়েছিল। এ ছবি মিডিয়ায় প্রচার হয়েছে। এ দেখে আমাদের এক নেতা বলেছিলেন কুত্তা মার্কা নির্বাচন। আবারও পাতানো-সাজানো নির্বাচনের আয়োজন চলছে।
তিনি বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অধীনে হলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না উল্লেখ করে বলেন, এইবার তামাশার নির্বাচন, আওয়ামী লীগের নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এ জন্য শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল চলমান এই আন্দোলনকে সামনের দিকে দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি এ সময় আগামী ১১ মার্চ দেশের সব মহানগর ও জেলায় যুগপৎ আন্দোলনের নতুন কর্মসূচি মানববন্ধন ঘোষণা করেন।
বর্তমান সরকার দেশের মানুষের সমস্যার সমাধান করতে পারছে না বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, কয়েক মাসে তিনবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এতে জিনিসপত্রের দাম আরেক দফা বেড়েছে। গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। এ জন্য কল কারাখানা চালু রাখতে সমস্যা হচ্ছে।
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, ভারতের আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। কয়লা কিনবে, বিদ্যুৎ কিনবে। তারা বিদ্যুৎ না দিলেও খরচ দিতে হবে সরকারকে। এতে সরকারকে এক লাখ ডলালের বেশি খেসারত দিতে হবে সরকারকে। তিনি বর্তমান সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই বলেও মন্তব্য করেন।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা-পর্ব থানা বিএনপির আহ্বায়ক শাহ আলম। এতে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, কৃষক দলের সভাপতি হাসান জাফির তুহিন ও ছাত্রদল সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণ প্রমুখ।