তারেক রহমানের নির্দেশে নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় নতুন ফোরাম

তারেক রহমানের নির্দেশে নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় নতুন ফোরাম

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নারী ও শিশুদের অধিকার রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালনের লক্ষ্যে ‘নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম’ নামে নতুন একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। নয়টি লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে এ ফোরাম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এর আহ্বায়ক সেলিমা রহমান।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ফোরামের ঘোষণা দেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং নবগঠিত ফোরামের প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও নতুন কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান।

নতুন কমিটির নয় দফা লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধরে সেলিমা রহমান বলেন, নারী ও শিশু অধিকার রক্ষার যাবতীয় কার্যক্রমকে শক্তিশালী ও বেগবান করা হবে। নির্যাতন প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানো হবে। ভিকটিমদের আইনগত ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে। নারীকে নির্যাতন করা অন্যায়, এটা পরিবার থেকে শিশুকে শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে সচেতনতা বাড়ানোর কার্যক্রমকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতন যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করা হবে। গণমাধ্যমে আলাপচারিতা ও পারস্পরিক কথা-বার্তায় যাতে নারী বিদ্বেষী বক্তব্য প্রচার না হয়, সেজন্য কার্যকর উদ্যোগ গড়ে তোলা হবে।

এক প্রশ্নের জবাবে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নির্যাতিত নারী ও শিশুদের জন্য যদি আমরা আন্দোলন করতে পারি, তাহলে খালেদা জিয়াও তো নারী। তার ওপর যদি নির্যাতন অত্যাচার হয়, আইনকে অ্যাভয়েড করে তাকে নাজেহাল করা হয়, তাহলে অন্যান্য নারীর মতো তিনিও তো নারী হিসেবে আমাদের কাছে সাপোর্ট পেতে পারেন।

তিনি বলেন, শুধু খালেদা জিয়াই নন, যেকোনো নারীকে যদি অন্যায়ভাবে কারাগারে রাখা হয়, তার বিরুদ্ধে কথা বলার জন্যই এ নারী ও শিশু অধিকার ফোরাম। নারী ও শিশুর যত ধরনের অধিকার আছে, সবধরনের অধিকার নিয়েই এ ফোরাম কাজ করবে।

এসময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন। 

তিনি বলেন, এ কমিটিতে শুধু বিএনপি নয়, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, সাংবাদিকসহ যে কেউ চাইলে এখানে সদস্য হতে পারবেন। সবার জন্য এ ফোরাম উম্মুক্ত থাকবে।

সংগঠনটির উপদেষ্টা হিসেবে যাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে, তারা হলেন- প্রধান উপদেষ্টা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, আবদুল আউয়াল মিন্টু, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদিন, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী, অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, আহবায়ক সেলিমা রহমান, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী, সদস্য আজিজুল বারী হেলাল, আমিনুল হক, রাশেদা বেগম হীরা, মীর সরফত আলী সপু, অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, লুৎফর রহমান কাজল, আফরোজা আব্বাস, তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনীর হোসেন, বেলাল আহমেদ, অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, দীপেন দেওয়ান, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, ডা. রফিকুল ইসলাম, বেবী নাজনিন, মনিরুজ্জামান মনি, বিলকিস ইসলাম, ফরিদা ইয়াসমিন, মীর রবিউল ইসলাম লাভলু, রুমানা মাহমুদ, কনক চাঁপা, এস এ সিদ্দিক সাজু, আরিফা সুলতানা রুমা, শামীমা আক্তার শাম্মী, ইসরাক হোসেন, মনোয়ারা বেগম মনি প্রমুখ।

সদস্য সচিব নিপুন রায় চৌধুরী বলেন, আমরা কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করেছি। এরপর পর্যাক্রমে প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে এ সংগঠনের কমিটি গঠন করা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- রুহুল কবির রিজভী, মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, মীর সরফত আলী সপু, আফরোজা আব্বাস, আব্দুস সালাম আজাদ, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, বিলকিস ইসলাম প্রমুখ।