তালতলীতে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি খালের মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ

বরগুনার তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নে তাঁতীপাড়া এলাকায় সরকারি খালের মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে স্থাণীয় ইউপি সদস্য মোঃ শাকিলের বিরুদ্ধে। এতে খালের দুই পাড়ে মাটি ও গাছপালা ধ্বসে পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরেই ভেকু মেশিন দিয়ে ওই খালের মাটি কেটে তা কয়েকটি ট্রাক্টরের মাধ্যমে ইট ভাটায় নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার সরকারি তাঁতীপাড়া খালটি দীর্ঘদিন ধরে খনন না করায় খালটি তার সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলে সরু হয়ে গেছে। এতে শুকনো মৌসুমে কৃষকরা ওই খাল থেকে ঠিকমত পানি না পেয়ে তাদের চাষাবাদ করতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। এমন সময়ে ওই এলাকার বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ শাকিল ও স্থাণীয় কিছু সুবিধাভোগীরা একত্রিত হয়ে এলাকার মানুষকে খাল কেটে ফসলি জমিতে শুকনো মৌসুমেও পানি দেওয়া যাবে বলে প্রলোভন দেখায়। এরপর স্থাণীয় মানুষদের বোকা বানিয়ে ও ভূমি অফিসের অগোচরে ওই খালের মাটি কেটে তা বিভিন্ন ইট ভাটা ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, স্থাণীয় ইউপি সদস্যের নেতৃত্বে খাল থেকে মাটি কেটে তা ইট ভাটায় ও বিভিন্ন ব্যক্তির কাছে মোটা অংকের টাকায় বিক্রি করছে। অনেক গভীর ও খারা করে খালের মাটি কাটায় আমাদের ফসলি জমির ক্ষতি হবে তবুও আমরা কিছু বলতে পারছি না। তারা ক্ষমতাশীন এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ভূমি অফিসের অনুমতি না পেয়েও মাটি কেটে বিক্রি করছে।
তারা আরো বলেন, সংশ্লিষ্ট আইনের লোকেরাও ফায়দা লুটেছে। গত কয়েক দিন ধরে মাটি কাটছে অথচ প্রশাসন নিরব? আমরা খালের পারের ১টা সরকারি গাছ কাটলেও সমস্যা, এখন দেখছি ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে নিচ্ছে, আশপাশের গাছ পালা নষ্ট হচ্ছে, সেখানে প্রশাসন নিরব ভূমিকায় রয়েছে।
নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দুলাল ফরাজী জানান, আমার কিছু মাটির প্রয়োজনে আমি ইউপি সদস্য শাকিলকে কন্টাকে দেই। এখন সে কোথা থেকে মাটি এনে দিছে তা আমার জানা নেই।
অভিযুক্ত স্থানীয় ইউপি সদস্য শাকিল বলেন, এই বছর কৃষকের জমির ধান বাড়ীতে নিতে যেতে পারেনি কেবলমাত্র ওই খালে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায়। আমি ওই খালের মাটি কেটে সেটার ব্যবস্থা করে কৃষকের উপকার করছি। তবে খালের মাটি বিক্রির ব্যপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বাচ্চু মুঠোফোনে বলেন, আমি এবিষয়ে কিছু জানি না। ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে ভেকু মেশিন দিয়ে খালের মাটি কাটা অথবা বিক্রি করার কোন অনুমতি দেয়া হয়নি।
এ বিষয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সাদিক তানভীর মুঠোফোনে বলেন, আমি বিষয়টি দেখে কাজ বন্ধ করে দেয়ার ব্যবস্থা করতেছি।