দাঁড়ালেন মমতা

দাঁড়ালেন মমতা

 হুইলচেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় দফার ভোট প্রচারের শেষ মুহূর্তে এসে জাতীয় সংগীত গাওয়ার সময় মঞ্চে দাঁড়িয়ে যান, হাত জোড় করে সম্পূর্ণ জাতীয় সঙ্গীত গান তিনি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার নন্দীগ্রামে প্রচার শেষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকালে টেঙ্গুয়ায় দলীয় প্রচার সভায় করছিলেন তিনি। সেখানেই জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। তখনই হুইলচেয়ার থেকে আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়ান পশ্চিমবঙ্গের দিদি। এসময় তাকে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি ধরতে এগিয়ে আসেন। ছিলেন নিরাপত্তা রক্ষীরাও। তারা মমতার দুই হাত ধরেন। কিন্তু, মাইক হাতে ধরে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বলে শোনা যায়, আমি ঠিক আছি। আমাকে কাউকে ধরতে হবে না। আমি ঠেসান দিয়ে আছি। সবাই হাত জড়ো করে জাতীয় সঙ্গীত গাও।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মনোনয়ন জমা দিয়ে ফেরার পথে বিরুলিয়া বাজারে আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জখম অবস্থাতেই গাড়িতে বসেই যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছিলেন যে, ৪-৫ জন ইচ্ছাকৃতভাবে চেপে গাড়ির দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। গোটাটাই চক্রান্ত। অভিযোগের তীর ছিল বিজেপি শিবিরের দিকে।

এতদিন এ নিয়ে চুপ থাকলেও গতকাল তার পায়ের জখমের জন্য বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে অভিযোগের কাঠগড়ায় দাঁড় করান। তিনি বলেন, ইলেকশনের সময় তুই আমার পা জখম করিয়েছিস। আমি চেপে গেছি ভদ্রতা করে। আজও আমায় পা ভাঙা নিয়ে হুইলচেয়ারে বসে মিটিং করতে হচ্ছে। এটা যে কত কষ্টের!

শুভেন্দু অধিকারীর উদ্দেশে মমতা বলেন, তোমার নির্দেশ ছাড়া এসব হতে পারে না। কোনও নন্দীগ্রামের লোক এসব করতে পারে না। বহিরাগত গুন্ডাদের দিয়ে এসব করিয়েছো তুমি।