দাম বাড়বে গ্যাসের, বাধ্যতামূলক হচ্ছে প্রি-পেইড মিটার

দাম বাড়বে গ্যাসের, বাধ্যতামূলক হচ্ছে প্রি-পেইড মিটার
ঢাকা ও আশপাশের সব পুরনো গ্যাস লাইন পুনঃস্থাপন করাসহ গ্যাসের দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, ঢাকা ও আশপাশে অবৈধ লাইন ও পুরনো লাইন নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য পরিবর্তন করা হবে। পাশাপাশি গ্যাসের সব মিটার প্রি-পেইড করা হবে। তাহলে ঘরে বসে বুঝা যাবে চুরি হচ্ছে কিনা। এ সংক্রান্ত একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে সহায়তা করার জন্য আমরা জাইকাকে অনুরোধ করেছি। রোববার (০৯ জুন) সচিবালয়ে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় ও সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিভাগ আগের তুলনায় ভালোর দিকে যাচ্ছে। আমাদের গ্যাস আমদানিতে ১৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এখন সামনে আরও গ্যাস কিনতে ১৪ হাজার কোটি টাকা লাগবে। এই টাকা কোথা থেকে আসবে? ফলে গ্রাহকের কাছ থেকে আগের দাম নেওয়া যাচ্ছে না। যদি সমন্বয় না করা হয় সমস্যা দেখা দেবে। এজন্য গ্যাসের দামটা সমন্বয় করা দরকার। কবে সমন্বয় করা হবে এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা বলা মুশকিল তবে আশা করতেছি যত দ্রুত সম্ভব করার জন্য। এছাড়া বার্ককে (বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি) আমরা গ্যাসের দামের বিষয়টি সাবমিট করেছি। বার্ক আমাদের চাহিদা অনুযায়ী দাম সমন্বয় করলেও গ্যাসে আমাদের সাবসিডি দিতে হবে। নসরুল হামিদ বলেন, বাসাবাড়ি ও আবাসিক ক্ষেত্রে গ্যাস ব্যবহারে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। এটা বরাবরই আমরা বলছি। আমরা একটা বড় প্রকল্প নিচ্ছি ঢাকা শহরসহ সব জায়গায় পুরনো গ্যাস লাইনগুলো উঠিয়ে ফেলে নতুন গ্যাস লাইন আমরা করবো। সেখানে প্রি-পেইড মিটার বসাবো। ২ লাখ গ্যাসের মিটার সংযোগ গেছে। আমরা আবেদন করেছি জাইকাকে সহযোগিতা করার জন্য, প্রি-পেইড গ্যাস মিটার বাসাবাড়িতে ব্যাপকভাবে একশ পারসেন্ট দেওয়া যায় কিনা সেটার ব্যবস্থা আমরা নিতে যাচ্ছি। বিদ্যুৎ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের অবস্থা এখন অনেক ভালো। এবার আমরা সর্বোচ্চ ১২ হাজার ৮শ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করেছি। আমাদের সিস্টেম রেডি ছিলো আরো বেশি করার জন্য, কিন্তু ঝড়ের কারণে সম্ভব হয়নি। অনেক এলাকায় নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও কিছুটা সমস্যা ছিলো। সেগুলো আমরা চিহ্নিত করে ফেলছি। তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশের নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ক্ষেত্রে আগামী তিন বছরের মধ্যে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে। আমাদের টার্গেট ইকোনমিক জোনগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ও গ্যাস দেওয়া। এটি আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ।