দুদককে নিয়ে এমপির হুমকি: হাইকোর্টের অসন্তোষ

দুদককে নিয়ে এমপির হুমকি: হাইকোর্টের অসন্তোষ

দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) হুমকি দিয়ে চট্টগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর বক্তব্য দেওয়া উচিত হয়নি বলে মন্তব্য করেছে উচ্চ আদালত।

হাইকোর্ট বলেছে, ‘আমরা দিন দিন যেন অসহিষ্ণু হয়ে উঠছি।’

গণমাধ্যমে প্রকাশিত নজিবুল বশর মাইজভান্ডারীর বক্তব্য বৃহস্পতিবার নজরে আনলে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালকুদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করে।

প্রাইম ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ৩৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে তা আত্মসাতের অভিযোগ এনে নজীবুল বশরের দুই ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক।

দুদকের আইনজীবীরা জানান, এটি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা যায়, এ বিষয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় দুদকের উদ্দেশে নজিবুল বশর বলেন, ‘দুদক নজিবুল বশরকে এখনো চেনে নাই। যা-তা কমেন্ট করেছেন সহকারী পরিচালক। চামড়া সব ছিঁড়ে ফেলব। মাইজভান্ডারীর গায়ে হাত!’ প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

এ সময় আদালতে আরো ছিলেন দুদকের কৌঁসুলি মো. খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক।

আদালত বলে, ‘সুশীল সমাজের একজন মানুষ, সংসদ সদস্য। তার এমন মন্তব্য দেওয়া উচিত হয়নি।’

নজিবুল বশরের কাছে ব্যাখ্যা চাইতে হাইকোর্টে আরজি জানান দুদক আইনজীবী। তার উদ্দেশ্যে হাইকোর্ট বলে, ‘যেহেতু আপনাদের মামলা আপনারাই বিষয়টি দেখবেন।’

দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘মামলাটি তদন্তের পর্যায়ে রয়েছে। তিনি একজন সংসদ সদস্য। এ ধরনের মন্তব্য একেবারেই সমীচীন হয়নি। তার কাছে ব্যাখ্যা চাইতে হাইকোর্টে আরজি করেছিলাম। তবে, আদালত এ বিষয়ে কোনো আদেশ দেননি।’