দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বাড়ছে যাত্রীর চাপ

রবিবার সকালে দৌলতদিয়া ফেরিঘাট এলাকায় দেখা যায়, মানিগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ফেরিতে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি মোটরবাইকে শত শত যাত্রী রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে আসছে। অন্যদিকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া এসে লঞ্চে নৌপথ পাড়ি দিয়ে দৌলতদিয়া আসছে। ফেরিতে ন্যুনতম স্বাস্থ্যবিধি মানা হলেও লঞ্চে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই ছিলো না।
সকাল থেকে ঢাকা খুলনা মহাসড়কে যানবাহনের চাপ থাকলেও শৃঙ্খলা ছিলো চোখে পড়ার মতো। দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পদ্মার মোড় পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। যানবাহনগুলোর মধ্যে পশুবাহী শত শত ট্রাক রয়েছে। অন্যদিকে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ মোড় থেকে রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে ২ কিলোমটার এলাকা জুড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ২ শতাধিক যানবাহন।
ঢাকা থেকে ছেলে আসা যাত্রী মো. আলমগীর মোল্লা বলেন, দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রীর চাপ শুরু হয়েছে। তবে ঘাট এলাকায় এবার শৃঙ্খলা ভালো। এই ঘাট দিয়ে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত যাত্রীর চাপ ক্রামগত বৃদ্ধি পাবে।
কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা গরুবাহী ট্রাক চালক রহিম শেখ বলেন, আমার ট্রাকে ৩০টি গরু আছে। ব্যাপারীদের বলেছিলাম একটা সিস্টেম করে দ্রুত ফেরিতে তুলে দিবো। কিন্তু এবার সেটা সম্ভব হয়নি। ফেরিঘাটে পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা রয়েছে। সিরিয়াল মেনেই ফেরিতে উঠতে হবে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ দৌলতদিয়া ফেরিঘাটের ম্যানেজার মো শিহাব উদ্দীন বলেন, বর্তমানে দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে ১৬টি ফেরি চলাচল করছে। নদীতে স্রোতের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হলেও ঘাট এলাকায় শৃঙ্খলা রয়েছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার এম এম শাকিলুজ্জামান বলেন, কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল ও ঈদের কারণে দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার পশুবাহী ট্রাক ঘাট এলাকায় আসছে। আবার ঢাকা থেকে দুরপাল্লার বাসে যাত্রী আসছে। ঢাকা খুলনা মহাসড়কে যানবাহন চালাচল যেন বন্ধ না হয় সে ব্যাপারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। পশুবাহী ট্রাকগুলোকে পার করার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। করোনাকালে জেলা পুলিশের সদস্যরা ঘাট এলাকায় যেভাবে দায়িত্ব পালন করছে সেটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ঘরমুখো যতটুক সম্ভব স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করেন জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা।