নতুন রূপে সিলেটের পুলিশ

কোমরে বা হাতে ভারি বন্দুক। এভাবেই এখন পুলিশ সদস্যদের কাজ করতে দেখা যায়। তবে ‘প্রাগৈতিহাসিক যুগের’ সেই ধারা থেকে এবার বেরিয়ে আসছে পুলিশ। উন্নত বিশ্বের আদলে মাঠপর্যায়ে কাজ করা পুলিশ সদস্যদের অত্যাধুনিক ব্যবস্থার আওতায় আনা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ‘ট্যাকটিক্যাল বেল্ট’ পাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
জানা গেছে, এই ট্যাকটিক্যাল বেল্ট পুলিশ সদস্যরা পরবেন কোমরে। বেল্টের সঙ্গে যুক্ত হোলস্টার থাকবে উরুতে বাঁধা। সেই হোলস্টারে থাকবে ছোট আকারের আগ্নেয়াস্ত্র। এছাড়া হ্যান্ডকাফ, ওয়ারলেস ও পানির বোতল রাখার সুবিধাও থাকবে ওই ট্যাকটিক্যাল বেল্টে।
ইতোমধ্যে ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের প্রায় সাত হাজার সদস্যদের এই ট্যাকটিক্যাল বেল্ট প্রদান করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে আগামী মাসখানেকের মধ্যে সিলেট মহানগর পুলিশ, সিলেট জেলা পুলিশের সদস্যরাও এই বিশেষ বেল্ট পাবেন বলে জানিয়েছেন দায়িত্বশীলরা।
জানা গেছে, ‘পুলিশে সর্বাধুনিক অপারেশনাল গিয়ার চালুকরণ’ নামে নতুন একটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ‘ট্যাকটিক্যাল বেল্ট’ পাচ্ছেন পুলিশ সদস্যরা।
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পুলিশ সদস্যদের কর্মদক্ষতা ও অপারেশনাল সক্ষমতা বাড়িয়ে দায়িত্ব পালনের সময় হাত খালি রাখা, রুটিন দায়িত্ব পালনের সময় ভারি ও বহনে কষ্টকর লম্বা অস্ত্রের পরিবর্তে হালকা ও সহজে বহনযোগ্য ছোট অস্ত্র ব্যবহার করা, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে বেশি হতাহতের ঘটনা এড়াতে লম্বা ব্যারেলের অস্ত্রের ব্যবহার ধারাবাহিকভাবে কমিয়ে আনার লক্ষ্যেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এই বেল্ট থাকলে পুলিশ সদস্যদের বাড়তি লাঠি ব্যবহার করার প্রয়োজন পড়বে না। বেল্টের সাথে থাকা একটি বাটনে চাপ দিলে লাঠির মতোই একটি স্টিক বের হবে। প্রয়োজন শেষে স্টিকটি ফের জায়গামতো রেখে দেওয়া যাবে। এছাড়া রাতে যারা দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের জন্য বেল্টে টর্চ লাইট থাকবে।
জানতে চাইলে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বি এম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, ‘পুলিশে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে ট্যাকটিক্যাল বেল্ট ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কিছু সদস্য এই বেল্ট পেয়েছেন। আগামী ধাপে সিলেটে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরাও এই বিশেষ বেল্ট পাবেন।’
ভোরের আলো/ভিঅ/০৮/০১/২০২১