নাঙ্গলকোটে আইসিইউ সেবা

নাঙ্গলকোটে আইসিইউ সেবা

কুমিল্লায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দিন দিন বেড়েই চলছে। অতি ঝুঁকিপূর্ণ রোগীও বাড়ছে। এ অবস্থায় অর্থমন্ত্রী তার গ্রামের বাড়ি লালমাই উপজেলার দুতিয়াপুরের অদূরে বাগমারা ২০ শয্যা হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায়, নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসিইউ শয্যা চালু করার সিদ্ধান্ত নেন।

আগামী সপ্তাহে এই সেবা চালু হবে। কুমিল্লার সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন সোমবার বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। একই ওইসব স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিরবচ্ছিন্ন অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থাও থাকবে।

ইতিমধ্যে সেখানে সংশ্লিষ্ট সরঞ্জাম লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউ চালানোর জন্য চিকিৎসক, নার্সদের সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ চলছে। আগামী সপ্তাহে প্রশিক্ষণ শেষে এগুলো চালু হবে।

বাগমারা হাসপাতালে দুটি আইসিইউ শয্যার বাইরে দুটি হাই ফ্লো নাজাল ক্যানুলা, তিনটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর, একটি বাইপেপ ভেন্টিলেটর, একটি সিপেপ ভেন্টিলেটর, ১২টি সিলিন্ডার সমন্বিত সেন্ট্রাল অক্সিজেন, ইসিজি ও এক্স–রে মেশিন, একটি লেরিঙ্গোস্কোপ, দুটি বৈদ্যুতিক সাকার মেশিন ও ১০টি বিশেষ শয্যা থাকবে।

বাগমারা হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আনোয়ার উল্যাহ বলেন, আইসিইউ সেবা চালু রাখতে হলে পর্যাপ্ত জনবল লাগবে। আট ঘণ্টা পরপর লোক লাগবে।

তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন চিকিৎসক বলেন, এখানে আইসিইউ চালানোর জন্য পর্যাপ্ত লোকবল নেই। এক সপ্তাহের প্রশিক্ষণে এ আইসিইউ চালানো কঠিন হবে। তার ওপর বাগমারা হাসপাতালে কোনো ওষুধ সরবরাহ ব্যবস্থা নেই। বাইরে থেকে ওষুধ কিনে আনতে হবে। তখন রোগীর অবস্থা কী হবে?

জানতে চাইলে কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন মীর মোবারক হোসাইন বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী মহোদয় তিনটি উপজেলায় ছয়টি আইসিইউ শয্যা দিয়েছেন। আমরা সেগুলোর চালানোর জন্য চিকিৎসক ও নার্সদের, স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছি। এসব হাসপাতালে আরো লোকবল পদায়ন করা হবে।’