নিবন্ধিত ইলিশ ৭৫৪০জেলের মাঝে দশমিনায় ভিজিএফের চাল বিতরণ

নিবন্ধিত ইলিশ ৭৫৪০জেলের মাঝে দশমিনায় ভিজিএফের চাল বিতরণ

পটুয়াখালীর দশমিনায় নিবন্ধিত ইলিশ ৭হাজার ৫শ’ ৪০জেলের মাঝে ভিজিএফের ৮০কেজি করে চাল বিতরণ শুরু করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় দশমিনা সদর ইউনিয়ন পরিষদে এ চাল বিতরণ করা হয়েছে।

উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাত ইউনিয়নে নিবন্ধিত ইলিশ জেলে দশমিনা ইউনিয়নে-১৯৫০, বাঁশবাড়িয়ায়-১৪৫০, বেতাগী সানকিপুর-১২০, আলীপরা-২৫০, রনগোপালদী-২৪০৫ ও চরবোরহান ইউনিয়নে-১২৫০জন। ফেব্রুয়ারী-মার্চ নদীতে জাটকা (১০ইঞ্চি) জাল ফেলে ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তাই এ সময় জেলেদের নদীতে না নামতে ও ইলিশ না ধরতে নিষিদ্ধকালীন মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধিত জেলেদের মাঝে দুই মাসে ভিজিএফের ৮০কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়। 

মঙ্গলবার দিনভর দশমিনা সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এ্যাভোকেট ইকবাল মাহামুদ লিটন ইউপি চত্বরে নিবন্ধিত ১হাজার ৯শ’ ৫০ জেলে পরিবারের হাতে ৮০কেজি করে চাল তুলে দেন। চাল বিতরণ অনুষ্ঠানে মৎস্য প্রতিনিধি, সকল ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও অনান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। 

এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাভোকেট ইকবাল মাহামুদ লিটন বলেন, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী মাছ শিকার করলে আমাদের মাছের ঘাটতি কখনোই আসবে না। তিনি মা ইলিশ রক্ষায় জন্য জেলে ও সচেতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।

উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তা মাহবুবুল আলম তালুকদার বলেন, নদীতে জাল ফেলে ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার। তাই এসময় সকল জেলেকে নদীতে না নামতে ও ইলিশ না ধরতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেই সাথে নদীতে সরকারি আদেশ অমান্য করে যদি কেউ জাল ফেলে মাছ ধরার চেষ্টা করে তাহলে তাদের অইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি। ইলিশ রক্ষায় সরকারী আদেশ পালনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, মৎস্য কর্মকর্তা ও সার্বক্ষণিক টহল দিচ্ছেন বলেও জানান তিনি।