নিরাপত্তাহীনতার কারণে বরগুনার পর্যটন কেন্দ্রগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পর্যটকরা

নিরাপত্তাহীনতার কারণে বরগুনার পর্যটন কেন্দ্রগুলো থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে পর্যটকরা

 

বরগুনার তালতলীর জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে ট্যুরিস্ট পুলিশ না থাকায় বারবার ঘটছে ইভটিজিং সহ গণধর্ষণের ঘটনা। এ কারনে দিনদিন পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে এখানকার জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রগুলো।

দেশের দ্বিতীয় সুন্দরবন খ্যাত টেংরাগিরি ম্যানগ্রোভ বনে ১০-১১ ও ১১-১২ অর্থবছরে প্রায় দুই কোটি ৬৪ লাখ টাকা খরচ করে নির্মাণ করা হয় টেংরাগিরি ইকোপার্ক। যা ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেন।

ইকোপার্কে দেখা যায় মায়াবী হরিণ, কাঠবিড়ালি, কুমির, বানরসহ নানা ধরনের বন্যপ্রাণী ও সুন্দরবনের হাজারো রকমের গাছ। এসব সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজার হাজার পর্যটক আসতো এখানে। 

কিন্তু পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে টুরিস্ট পুলিশ না থাকায় চুরি ছিনতাইসহ নানান অপরাধ সংগঠিত হয় এখানে। এমনকি ২০২০ ও ২১ সালে দুটি গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে এখানে।

দূর দূরান্ত থেকে ঘুরতে পর্যটকরা বলছেন এখাকার মনমুগ্ধকর সৌন্দর্য উপভোগ করতে আতংক নিয়ে।

এ বিষয়ে বরগুনা জেলা ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টের সভাপতি আরিফ রহমান বলেন, টুরিস্ট পুলিশ ক্যাম্প না থাকায় নিরাপত্তা হীনতার কারণে এসব পর্যটন কেন্দ্র থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে পর্যটকরা।

টুরিস্ট পুলিশের বিষয় বরগুনা পুলিশ সুপার আব্দুস সালাম জানান, টুরিস্ট পুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন তারা। আর ক্যাম্প স্থাপনের আগ পর্যন্ত থানা পুলিশ দিয়ে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখবেন তারা।

সুন্দরবন খ্যাত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর এই ম্যানগ্রোভ বোনের আয়তন ১৩ হাজার ৬৪৩ একর।