নির্বাচনের ৩১ ভোটারকে কুয়াকাটায় আটকে রাখার অভিযোগ

নির্বাচনের ৩১ ভোটারকে কুয়াকাটায় আটকে রাখার অভিযোগ

বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনের ৩১ জন ভোটারকে কুয়াকাটার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার খালিদ হোসেন স্বপনের বিরুদ্ধে।

জেলা পরিষদের ৩ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্য প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাতি প্রতীকের জাহাঙ্গীর হোসেন আকনের পক্ষে এক তরফা ভোট পাইয়ে দিতে সভাপতি অন্য পক্ষের ভোটারদের আটকে রেখেছন বলে অভিযোগ করেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান মিলন। জাহাঙ্গীরের প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের ক্রীড়া সম্পাদক তালা প্রতীকের মাইনুল হোসেন পারভেজ মিলনের সমর্থক। 

তবে ওই ভোটাররা বিনোদনের জন্য কুয়াকাটা গিয়েছেন এবং ১৭ অক্টোবর সকালে বরিশাল এসে তারা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে দাবি করেছেন রিটার্নিং কমকর্তা জসীম উদ্দিন হায়দার।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিলন জানান, কেদারপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরে আলম বেপারীসহ ১০ জন সদস্য, চাঁদপাশা ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার রাড়ি ও ৮ জন সদস্য, জাহাঙ্গীরনগর ইউপি’র ৮ সদস্য, দেহেরগতি ইউপি’র ২ সদস্য এবং মাধবপাশা ইউপি’র ৩ সদসকে মিটিংয়ের কথা বলে একটি স্থানে ডেকে গাড়িযোগে কুয়াকাটায় নিয়ে আবাসিক হোটেল মরিয়মে আটকে রাখে। এদের মধ্যে মহিলা জনপ্রতিনিধিও রয়েছে। বিষয়টি কোন পক্ষ নির্বাচন কমিশনে জানায়। এতে নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। 

 

তবে এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা জসীম উদ্দিন হায়দার বলেন, মৌখিকভাবে এরকম একটা অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিলো। বিষয়টি নিশ্চিত হতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক ওই আবাসিক হোটেলে খোঁজ খবর নেয়া হয়। তাদের সাথে তার (ডিসি) নিজের কথা হয়েছে। তারা স্বেচ্ছায় কুয়াকাটা বেড়াতে গিয়েছেন বলে তাকে জানিয়েছেন। তারা প্রত্যেকে সোমবার সকালে বরিশাল এসে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট দেবেন বলে তাকে জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে বাবুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সরদার খালিদ হোসেন স্বপনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।