নড়াইলে বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

নড়াইলে বাড়িঘর ও মন্দিরে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ায় বাড়িঘর ও দোকান ভাঙচুর এবং দুটি মন্দিরে হামলার ঘটনায় রোববার রাতে ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। মামলাটি করেন এসআই মাকফুর রহমান।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

এ দিকে ধর্ম অবমাননার অভিযোগে কলেজছাত্র আকাশ সাহার (২০) বিরুদ্ধে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোরশেদুল আলমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লোহাগড়া থানার এসআই মাকফুর রহমান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে তিন দিনের মঞ্জুর করেন।

এর আগে শনিবার (১৬ জুলাই) রাতে খুলনা থেকে আকাশ সাহাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই দিন (১৬ জুলাই) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে দিঘলিয়া গ্রামের সালাহ উদ্দিন কচি সরদার বাদী হয়ে লোহাগড়া থানায় আকাশের নামে ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে দাঙ্গা সৃষ্টির অপরাধ’ সংক্রান্ত মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৫ জুলাই লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া সাহাপাড়ার কলেজছাত্র আকাশ সাহার ফেসবুকে মহানবীকে (সা.) নিয়ে কটূক্তি করেন অভিযোগ ওঠে। এ অভিযোগে জুম্মার নামাজের পর বিক্ষুব্ধ লোকজন আকাশ সাহার গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে তাদের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ করেন।

ওই দিন বিকেল থেকে উত্তেজনা আরো বাড়তে থাকে।

বিক্ষুব্ধরা একপর্যায়ে সাহাপাড়ার ৫-৬টি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। এর মধ্যে একটি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। এ ছাড়া সাহাপাড়ার মন্দিরের চেয়ার ও সাউন্ডবক্স এবং আখড়াবাড়ি মন্দিরের টিনের চালা ভাঙচুরসহ ইট ছোড়ে বিক্ষুব্ধরা।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়। পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার পর আকাশের বাবাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।

পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আপাতত পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।