পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাত্রাবস্থায় আইয়ুব খানের ছাত্র সংগঠন করতেন

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন নিজেদের স্বার্থে সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করতে পারে। তারা সবকিছুই করতে পারে। এর আর একটা কারণ আছে, এই মোমেন সাহেব ছাত্রাবস্থায় আইয়ুব খানের ছাত্র সংগঠন করতেন।
তিনি আরও বলেন, তিনি অখণ্ড পাকিস্তানে বিশ্বাস করতেন। এখন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তার অতীতের যে নীতি তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের নীতি মেলে না। তাই আওয়ামী লীগের নীতি বেশি করে প্রচার করার জন্য এবং নিজেকে বড় আওয়ামী লীগার করার জন্য এসব কথা বলছেন।
শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে এসব কথা বলেন রিজভী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও জ্বালানি তেল এবং নিত্যপণ্যের সীমাহীন মূল্য বৃদ্ধি ও ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা ও স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নিহতের প্রতিবাদে এ মানববন্ধনের আয়োজন করে ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইউট্যাব)।
এ সময় রিজভী আরও বলেন, বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের মুখপাত্র হচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি এত বড় কথা বললেন, আর বলবেনই না কেন? একজন রসিক মানুষ আমাকে বললেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী কাণ্ডজ্ঞানহীন হয়ে পড়েছেন। দেশের এত লুটপাট করে স্বর্গে বসে তিনি মনে করছেন সবাই স্বর্গে আছে। প্রতিটি জিনিসের দাম বেড়েছে, ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। তাদের তৈরি করা নরকে আছে দেশের জনগণ। আর তারা বেহেশতে থেকে এসব বুঝবে কেমনে? বেহেশতে তো হুরপরি থাকে। তাদের আবদ্ধে থেকে তারা তো আবোল তাবোল বলবেনই।
বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, তাদের এক মন্ত্রী বলেছেন এটা দলের না, ব্যক্তিগত বক্তব্য। কীসের ব্যক্তিগত বক্তব্য? আপনাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একের পর এক ফাউল কথা বলে যাচ্ছেন, দেশের সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্রকে তলানিতে নিয়ে যাচ্ছেন, আর আপনারা বলছেন ব্যক্তিগত। তাকে তো সঙ্গে সঙ্গে বরখাস্ত করা উচিত ছিল। কিন্তু আপনারা তা করছেন না। কারণ তাকে আপনাদের দরকার আছে।
ইউট্যাবের সভাপতি এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক ড. মোরশেদ হাসানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহসম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার রিয়াজুল ইসলাম রিজু, সহ-তথ্য বিষয়ক সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ।