পুঁজিবাজারে ৩ ঘণ্টার লেনদেন

পুঁজিবাজারে ৩ ঘণ্টার লেনদেন

রবিবার থেকে পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরু হতে যাচ্ছে। সরকারের সাধারণ ছুটি বাতিলের পর পুঁজিবাজারে লেনদেন শুরুর বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) অনাপত্তি পাওয়া গেছে। 

এরপর বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজার সীমিত আকারে চালুর  সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। শুরুতে প্রতি কার্যদিবস ৩ ঘণ্টা লেনদেন চলবে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে। 

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কাজী সানাউল হক এ তথ্য জানিয়েছেন। 

এ বিষয়ে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক বলেন, এসইসির সম্মতি পাওয়ার পর ডিএসইর ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ লেনদেন ৩১ মে থেকে চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অপাতত সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে স্বাস্থ্য সুরক্ষার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে ব্রোকারেজ হাউসগুলোতে প্রবেশের ব্যবস্থা থাকবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে স্বাভাবিক লেনদেনে ফিরবে স্টক এক্সচেঞ্জ।   

এর আগে বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন শুরুর বিষয়ে অনাপত্তি দিতে এসইসির নবগঠিত কমিশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় পর স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন চালুর বিষয়ে অনাপত্তি দেওয়া হলেও কবে লেনদেন শুরু হবে, তার দিনক্ষণ বেঁধে দেওয়া হয়নি। লেনদেন শুরুর বিষয়টি স্টক এক্সচেঞ্জের হাতেই ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।

কমিশন সভা শেষে এসইসির দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোভিড-১৯ এর বিস্তার রোধে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত অফিস আদেশ পরিপালন সাপেক্ষে ঢাকা ও চট্টগাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন ও সেটেলমেন্টসহ সব কর্মকাণ্ড শুরুর জন্য এসইসির পক্ষ থেকে অনাপত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। 

এদিকে দুই মাস পর পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু হলেও দিয়ে ড. খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশন কর্তৃক শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বেঁধে দিয়ে নির্ধারিত ফ্লোর প্রাইস বহাল থাকছে। এর ফলে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু হলেও শেয়ারের পর্যাপ্ত ক্রেতার অভার দেখা দিতে পারে। ১৯ মার্চ ফ্লোর প্রাইস বেধে দেওয়ার পর পুঁজিবাজারের লেনদেন তলানিতে নেমে যায়। 

কমিশন সুত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবারের সভায় ফ্লোর প্রাইস বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। 

তবে বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এলে একটা সময়ে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করে নেয়া হবে বলে এসইসি সুত্রে জানা গেছে।    

করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ২৬ মার্চ থেকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পর তার সঙ্গে সমন্বয় করে পুঁজিবাজারের লেনদেনও বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর ধাপে ধাপে সাতবার সাধারণ ছুটির মেয়াদ বাড়লে স্টক এক্সচেঞ্জও বন্ধ রাখা হয়। পুঁজিবাজারে সর্বশেষ লেনদেন হয়েছিল ২৫ মার্চ। 

যদিও এ সময়ে বিশ্বের সব পুঁজিবাজারই চালু ছিল। শ্রীলংব ও জর্ডান তাদের বাজার সাময়িক বন্ধ রাখলেও পরবর্তীতে চালু করে। দেশের পুঁজিবাজার জরুরী সেবার আওতাভুক্ত না থাকায় দুই মাসেরও বেশি সময় লেনদেন বন্ধ থাকে। পুঁজিবাজার বন্ধের মধ্যে ড. খায়রুল হোসেনের নেতৃত্বাধীন কমিশনের মেয়াদ শেষ হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের নেতৃত্বে নতুনভাবে কমিশন গঠন হয়।

বৃহস্পতিবার নবগঠিত কমিশনের প্রথম সভাতেই লেনদেন চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।