পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলো মস্কো

পুতিন-জেলেনস্কি বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলো মস্কো

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভালোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছে মস্কো।

সোমবার আল জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে ইউক্রেন জানিয়েছে, মানবিক করিডোরের মাধ্যমে লোকজনকে সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। তারা রুশ হামলার আশঙ্কায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে ইউক্রেন ও রাশিয়ার প্রতিনিধিরা বেলারুশে কয়েক দফা বৈঠক করেন। পরে তুরস্কে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এসব বৈঠক থেকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির কোনো সিদ্ধান্ত আসেনি।

এরইমধ্যে দুই দেশের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে বসতে পারেন বলে খবর বের হয়। শোনা যাচ্ছিল যে, ওই বৈঠক তুরস্কে হতে পারে। এবার মস্কোর পক্ষ থেকে এ সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া হলো।

তবে আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে তুরস্কেই আবারও বসতে যাচ্ছেন দুই দেশের কর্মকর্তারা।

এর আগে রোববার তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ফোনালাপ করেন। এ আলাপকালে তারা ইস্তানবুলে একটি (রাশিয়া-ইউক্রেন) আলোচনার বিষয়ে সম্মত হন। আনকারার প্রত্যাশা, এ আলোচনার মাধ্যমে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। দেশটির রাজধানী কিয়েভসহ বিভিন্ন শহরে গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী।

যুদ্ধে দুই পক্ষেরই ব্যাপক প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে। জাতিসংঘ বলছে, যুদ্ধের কারণে ইতোমধ্যে ইউক্রেন ছেড়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন ৩৫ লাখেরও বেশি মানুষ।

সূত্র জানায়, রাশিয়ার সীমান্তবর্তী ইউক্রেনের শহরগুলো ঘিরে রেখেছে রুশ সামরিক বাহিনী; হামলা চলছে ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভেও।

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাশে অবস্থান করছে রুশ বাহিনীর ৪০ মাইল দীর্ঘ একটি বহর। তারা যে কোনো সময় শহরটিতে হামলা চালাতে পারে।

রাশিয়ার গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় খারকিভ, মারিওপল শহরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির খবর পাওয়া যাচ্ছে।