প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলামের মৃত্যু

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের বড় ভাই প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)।

সোমবার রাত ১টার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।

প্রকৌশলী শফিকুল স্ত্রী, দুই ছেলে ও নাতি-নাতনি এবং অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

বাবা মোমতাজ উদ্দীন আহমেদ ও মাতা মাজেদা খাতুনের ১১ সন্তানের মধ্যে প্রকৌশলী শফিকুল জ্যেষ্ঠ। তার অন্য তিন ভাইও স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠা অর্জন করেছেন।

দ্বিতীয় ভাই মো. তাফাজ্জুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি যিনি বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় প্রদান করেন।

তৃতীয় ভাই লে. জেনারেল (অব.) মো. মইনুল ইসলাম বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর প্রতিষ্ঠাতা মহাপরিচালক ও সেনাবাহিনীর সাবেক চিফ অব জেনারেল স্টাফ (সিজিএস) এবং আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনের সাবেক প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

ছোট ভাই মো. আতিকুল ইসলাম ডিএনসিসির মেয়র ও বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি।

প্রকৌশলী মো. শফিকুল ইসলাম ১৯৩৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার লালপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।

পরে ১৯৫৭ সালে সাবেক আহছান উল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (বর্তমান বুয়েট) থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ১৯৬৫ সালে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ প্রকৌশল সমিতির একজন ফেলো সদস্য।

স্নাতক পাশের পর কিছুদিন তিনি সরকারি চাকুরি করেন। প্রকৌশলী শফিকুল ১৯৬৫ সালে রূপপুর পারমানবিক প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি এ প্রকল্পে প্রকৌশল পরামর্শক হিসাবে কাজ করেছেন এবং দেশের বৃহত্তম নির্মাণসমূহে পরামর্শক হিসাবে অবদান রেখেছেন।

পরে ১৯৮৬ সালে বর্তমান তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রপথিক হিসেবে তার ছোট ভাই মো. আতিকুল ইসলামকে সাথে নিয়ে তৈরি পোশাকশিল্প প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে ইসলাম গার্মেন্টস লি. অ্যান্ড গ্রুপ দেশের একটি বৃহৎ শিল্পপ্রতিষ্ঠান। তিনি ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক। অনেকবার এই প্রতিষ্ঠান সেরা রপ্তানিকারক হিসাবে দেশ-বিদেশে রপ্তানি ট্রফি অর্জন করেছে।

মঙ্গলবার বাদ জোহর বারিধারা ৮নং সড়কের বায়তুল আতিক মসজিদে মরহুমের নামাজে জানাজা শেষে প্রকৌশলী শফিকুলকে বনানী কবরস্থানে দাফন করার কথা রয়েছে।