প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাকরির আবেদন নিহত হাদিসুরের ভাইদের

প্রধানমন্ত্রীর কাছে চাকরির আবেদন নিহত হাদিসুরের ভাইদের

ইউক্রেনে রকেট হামলায় নিহত ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর রহমানের জানাজা শেষে মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় দিকে পারিবারিক কবরস্থানে দাদা-দাদির কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়।

ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুর পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। মা-বাবা এবং দুই ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ চালাতেন তিনি। তাকে হারিয়ে আজ নিঃস্ব গোটা পরিবার।

হাদিসুরের দুই ভাই তারেক ও প্রিন্স বলেন, ভাইয়া আমাদের কোনো চাওয়া অপূর্ণ রাখেনি। লেখাপড়ার খরচও বহন করত। আমাদের ভাই আজ নেই, এখন আমরা কীভাবে কী করব বুঝতে পারছি না। নিজেদের লেখাপড়া কীভাবে চালাব আর মা-বাবার চিকিৎসার খরচই বা কোথায় পাব? সরকারের কাছে অনুরোধ, শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী আমাদের একটা চাকরির ব্যবস্থা করা হোক।

হাদিসুরের বাবা আবদুর রাজ্জাক বলেন, আমার সারাজীবনের সঞ্চয় দিয়ে ওরে (হাদিসুর) মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বানাইছি। আমি ও আমার স্ত্রী দুজনই অসুস্থ। এখন কীভাবে ছোট ছেলে দুইটারে পড়ালেখা করাব? ছেলে দুইজনের চাকরি হলে ভালোভাবে বাঁচতে পারতাম।

হাদিসুর রহমানের জানাজায় বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি বরিশালের কমান্ডেন্ট ক্যাপ্টেন আতিকুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল অংশগ্রহণ করেন। এ সময় তারা হাদিসুরের পরিবারকে সান্ত্বনা দেন এবং সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

ক্যাপ্টেন আতিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের কল্যাণে জাহাজে গিয়েছিলেন হাদিসুর রহমান। আমরা তার শোকসন্তপ্ত পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।

বরগুনা-১ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ইঞ্জিনিয়ার হাদিসুরকে হারিয়ে পরিবারটি এখন অসহায়। আমরা তার ভাইদের যাতে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হয় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো।