ফেসবুক লাইভ করতে গিয়ে আগুনে জ্বলে গেলো যুবক

সীতাকুন্ডের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফেসবুকে লাইভ করতে গিয়ে প্রাণ গেল ২৩ বছরের অলিউর রহমান নয়নের। শনিবার (৪ জুন) রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিজের মোবাইল থেকে ফেসবুক লাইভ করছিল নয়ন। লাইভ চলাকালে হঠাৎ করেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে কন্টেইনার ডিপোতে। তাতেই প্রাণ যায় এই তরুণের।
নয়নের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারে চলছে শোকের মাতম। আট সদস্যের পরিবারে তিনিই ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। পরিবারের সবার মুখে হাসি ফুটাতে মাত্র চার মাস আগে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শ্রমিকের চাকরি নিয়েছিলেন নয়ন।
জানা যায়, ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে অগ্নিকাণ্ডের দৃশ্য লাইভ করছিলেন নয়ন। এই সময় হঠাৎ করে কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে সবকিছু লন্ডভন্ড হয়ে। অন্ধকারে ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। ওই সময় আরও অনেকের মত নিখোঁজ হন এই তরুণ। যখন তাকে পাওয়া যায় তখন তিনি আর বেঁচে নেই।
সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন নয়ন। তার গ্রামের বাড়ি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্রামে। তার পিতার আশিক মিয়া। পরিবারের ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে নয়ন ছিলেন সবার বড়।
দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসেবে প্রায় ৪ মাস পূর্বে একই গ্রামের বাসিন্দা ঠিকাদার মামুন মিয়ার মাধ্যমে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজে যোগ দেন। মামুনও ওই জায়গায় কাজ করতেন।
রবিবার (৫ জুন) সকালে পরিবারের কাছে খবর আসে নয়ন মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে পরিবারসহ গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মরদেহ নিতে স্বজনরা চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।