বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বরিশালে সর্ববৃহৎ বাইসাইকেল র‌্যালী

বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীতে বরিশালে সর্ববৃহৎ বাইসাইকেল র‌্যালী

বরিশালে স্মরনকালের সর্ব বৃহৎ বাইসাইকেল র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সিটি করপোরেশন এই র‌্যালীর আয়োজন করে। সিটি মেয়রের নেতৃত্বাধীন র‌্যালিতে বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার এবং নারী ও শিশু সহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়।

প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ র‌্যালি ছিলো সুশঙ্খল এবং শান্তিপূর্ন। র‌্যালী উপলক্ষ্যে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত নগরীর প্রধান প্রধান সড়কে সকল ধরনের গনপরিবহন বন্ধ রাখে পুলিশ।

১৭ মার্চ জাতির জনকের জন্মদিন। দিবসটি স্মরনীয় করে রাখার পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে গত বছর প্রথম বৃহত্তম বাইসাইকেল র‌্যালীর আয়োজন করে বরিশাল সিটি করপোরেশন। গত বছর মেয়রের নেতৃত্বে বিশাল সাইকেল র‌্যালী স্থানীয় মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহন থাকায় দ্বিতীয় বারের মতো এবারও বাই সাইকেল র‌্যালীর আয়োজন করে সিটি করপোরেশন। র‌্যালী সফল করতে গত কয়েকদিন ধরে নানা প্রস্তুতি গ্রহন করে বাস্তবায়ন কমিটি। 

গতকাল বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে নগর ভবন চত্ত্বর থেকে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর নেতৃত্বে বাই সাইকেল র‌্যালী শুরু হয়। শিশু ও নারী সহ বিভিন্ন শ্রেনীর পেশার কয়েক হাজার মানুষের পাশাপাশি বিভাগীয় কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারও অংশগ্রহন করেন। 

সু-শৃঙ্খল বাই সাইকেল র‌্যালীটি বান্দ রোড, সিএন্ডবি রোড, নথুল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনাল, বিএম কলেজ রোড, হাসপাতাল রোড এবং সদর রোড হয়ে বিকেল ৫টা ২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। সোয়া ১ ঘন্টাব্যাপী সাইকেল র‌্যালীটি ছিলো অন্তত সাড়ে ৪ কিলোমিটার দির্ঘ। অংশগ্রহনকারীদের মাথায় ছিলো লাল ও সবুজ ক্যাপ। বিভিন্ন সড়কমুখে এবং মোড়ে দাড়িয়ে র‌্যালী উপভোগ করেন হাজারো মানুষ। বিভিন্ন স্থানে ফুল এবং রং ছিটিয়ে স্বাগত জানানো হয় র‌্যালী। 

র‌্যালীতে অংশগ্রহনকারী শিশু, তরুনী ও তরুনরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষ্যে সিটি মেয়রের আহবানে বাই সাইকেল র‌্যালীটি অংশগ্রহন করেছেন তারা। গত বছরের র‌্যালীতে অংশগ্রহন করে ভালো লাগায় এবারও অংশগ্রহন করার কথা বলেন অনেকে। ‘ডাক দিয়েছেন সাদেক ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’ বলে মন্তব্য করেন তারা।  


কাউন্সিলর শেখ সাইয়্যেদ আহমেদ মান্না বলেন র‌্যালী সফর করতে গত কয়েক দিন ধরে নানা প্রস্তুতি গ্রহন করা হয় বলে জানান বিসিসি’র এই কাউন্সিলর।


বিসিসি প্রথম বারের মতো এই র‌্যালীতে অংশগ্রহন করেন সরকারী শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা বলেন, আজ আনন্দের দিন। এ উপলক্ষ্যে মেয়র তরুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত করতে বাই সাইকেল র‌্যালীর আয়োজন করেছেন। 

অংশগ্রহন করা জরুরী মনে হওয়ায় র‌্যালীতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক,  মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ।


প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে র‌্যালীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অংশগ্রহনকারী রেঞ্জ ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান গানের সুরে বলেন, ‘চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে উইরা উইরা; জন্ম দিনে ঘুরবো আজ দুইজনে উইরা উইরা’। 

অনুভূতি ব্যক্ত করে বিভাগীয় কমিশনার মো. আমীন-উল আহসান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন মানে আনন্দের দিন। এ উপলক্ষ্যে সিটি মেয়রের সাইকেল র‌্যালীতে সকলে শামিল হয়েছেন। বাঙ্গালী হিসেবে তিনি নিজেও শামিল হয়েছেন। 

আয়োজনের বিষয়ে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বরিশালের সর্বস্থরের মানুষকে সম্পৃক্ত করতে এই বাই সাইকেল র‌্যালীর আয়োজন করেছেন। আজকের তরুন প্রজন্মের হাত ধরেই প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা তার। 

এতে অংশ নেয়া নারীরা নেঁচে গেয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী উদযাপন করেন। র‌্যালী শান্তিপূর্ন ও নির্বিঘœ করতে বিভিন্ন সড়কের মুখে এবং মোড়ে মোতায়েন করা হয় পুলিশ। এ কারনে বিকেল সাড়ে ৩টার পর থেকে সোয়া ৫টা পর্যন্ত প্রধান প্রধান সড়কে বন্ধ ছিলো সব ধরনের গনপরিবহন চলাচল।