বরগুনায় কথিত ডাক্তার মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ায় আদালতে তলব

ডাক্তার না হয়ে মেডিকেল সার্টিফিকেট দেওয়ায় তথা কথিত ডাক্তারকে আদালতে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারন দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে আদালত। বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মুহাম্মদ মাহবুব আলম রোববার সকালে এ আদেশ দিয়েছেন।
কথিত ডাক্তার সোহেল রানা তিনি বরগুনা সদর উপজেলার উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্র আয়লায় উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার হিসাবে কর্মরত আছেন।
জানা যায়, ওই কথিত ডাক্তার ২৬ ডিসেম্বর জনৈক মো মজিবর মুসুল্লি অসুস্থ্য হয়ে আয়লা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যায়। ওই ডাক্তার কোন পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে ফেবুলা ফ্রাকচার লিখে দেয়। সেই কথিত সার্টিফিকেট নিয়ে মজিবর মুসুল্লী বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৫ জানুয়ারী মো: ইব্রাহীমসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। এ ছাড়া ওই ডাক্তার ৯ জানুয়ারী মোসা: ঝর্ণা নামের অপর এক রোগীকে কথিত ডাক্তার জখমী সার্টিফিকেট প্রদান করে। সেই কথিত সার্টিফিকেট দিয়ে মজিবর মুসুল্লীর বাবার বিরুদ্ধে জরিনা নামের এক মহিলা বরগুনার চীফ জুডিশিয়াল আদালতে মামলা করে।
আদালত ৫ জানুয়ারী বরগুনা সিভিল সার্জনকে মেডিকেল সার্ফিকেট সংক্রান্ত তথ্য চানতে চেয়ে আদেশ দেন। সিভিল সার্জন আদালতকে জানায় উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কোন সার্টিফিকেট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আদালত এস্কান্দার আলীসহ ৫ জন আসামীকে তলব দেয়। এস্কান্দার রোববার সকালে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের প্রার্থনা করেন। আদালত আসামীদের জামিন মঞ্জুর করে ওই তথা কথিত ডাক্তারকে আদালতে উপস্থিত হয়ে কারন দর্শানোর আদেশ দিয়েছেন।
আসামী এসকান্দার বলেন, আমার ছেলে জাকারিয়াকে আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ২৬ জানুয়ারী তার বাড়ী গাবতলীতে নিয়ে পিটিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। আমি মোশাররফের বিরুদ্ধে মামলা করলে মজিবর মুসুল্লীকে দিয়ে ওই সোহেল রানাকে বাধ্য করে মোশাররফের আপন ভাগিনা মনিরকে দিয়ে সোহেল রানাকে ম্যানেজ করে একটি মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে। মোশাররফ চেয়ারম্যানের ভাগিনা মনির আয়লা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পিয়ন পদে চাকরী করে। সেই কারনে সোহেল রানা বার বার মিথ্যা সার্টিফিকেট দেয়।
কথিত ডাক্তার সোহেল রানা বলেন,আমি চার বছরের ডিপ্লোমা ডিগ্রী গ্রহন করেছি। আমি কোন সার্টিফিকেট দিতে পারি না। রোগী পেলে বরগুনা পাঠাই। ডাক্তার লিখতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডাক্তার লেখা যায়। যারা এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার তারাও এবং আমরা লেখতে পারি।
বরগুনার সিভিস সার্জন মোহাম্মদ ফজলুল হক বলেন, একজন উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার কোন ক্রমেই ডাক্তার লেখতে পারেন না এবং কোন সার্টিফিকেট দিতে পারেন না। সোহেল রানা যদি কোন সার্টিফিকেট দিয়ে থাকেন সেটা তিনি ভুল করেছেন।