বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে শত শত মানুষের উপস্থিতিতে স্ত্রীর সামনে রিফাত শরীফকে (২৫) কুপিয়ে হত্যাকারীদের মধ্যে অন্যতম একজন রিফাত ফরাজী (২৫)। এবারই প্রথম নয়, এর আগেও সে মানুষকে কুপিয়ে আহত করেছে বলে অভিযোগ আছে।
২০১৭ সালের ১৫ জুলাই সন্ধ্যায় তাহিদুল ইসলাম (২১) নামে এক প্রতিবেশীকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন রিফাত ফরাজী। তাহিদুল ইসলাম তারিখ।ফেসবুকে তার আহত অবস্থার কিছু ছবি দিয়ে এ দাবী করেন।
তাহিদুল ইসলাম তারিক জানান, একদিন সামান্য কথা কাটাকাটি হয় রিফাত ফরাজীর সঙ্গে তার। তখন রিফাত ফরাজী তাকে কুপিয়ে জখম করার হুমকি দেয়। ভয়ে তিনি দেড় মাস রিফাত ফরাজীর বাসার সামনে দিয়ে না গিয়ে অন্য পথে নিজের বাসায় যাওয়া আসা করতেন। দেড় মাস অতিবাহিত হওয়ার পর একদিন সন্ধ্যায় রিফাত ফরাজীর বাসার সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় রিফাত দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তার মাথায় গুরুতর আঘাত করে।
রিফাত ফরাজী বরগুনা পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের ধানসিঁড়ি রোডের মো. দুলাল ফরাজীর বড় ছেলে। তার বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, মাদক সেবন ও ছিনতাইসহ নানা অপকর্মে যুক্ত থাকার কথা জানিয়েছে স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের ওপর হামলা, মারধর রিফাতের কাছে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। এসব কারণে কয়েকবার গ্রেফতার হলেও অজ্ঞাত কারণে খুব স্বল্প সময়েই মুক্তি পায় সে।
তাহিদুল ইসলাম তারিকের উপর হামলার বিষয়ে জানউতে স্থানীয় থানায় যোগাযোগ করা হলে, পুলিশ এ খবর লেখা পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।