বরগুনায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

বরগুনায় শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক অপহরণ করে ধর্ষণ ও বিয়ে করার অভিযোগ প্রমানিত হওয়ায় ধর্ষককে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদন্ড। বিয়ের কাজি ও এক শিক্ষককে এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে আরও তিন মাস করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। 

রোববার সকালে বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো: হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষনা করেন। 

দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হল, বরগুনা জেলার বেতাগী উপজেলার কালিবাড়ী গ্রামের হাতেম পহলানের ছেলে মাসুদ মনা, একই গ্রামের সেকান্দার মিয়ার ছেলে আবদুল খালেক মাস্টার ও একই উপজেলার সরিষামুড়ি ইউনিয়নের বিয়ের কাজি আদম আলীর ছেলে মাওলানা শাহজাহান। রায় ঘোষনার সময় শিক্ষক আবদুল খালেক অনুপস্থিত ছিল। অন্যদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশেষ পিপি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী ভিকটিম দশম শ্রেণির ছাত্রী ওই ট্রাইব্যুনালে ২০১০ সালের ৫ জানুয়ারী মামলা করেন। তাকে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মাসুদ মনা ২০০৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১১ টার সময় ওই স্কুল ছাত্রী কালিবাড়ী হাতেম আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় যাবার পথে জোর করে অপহরণ করে দন্ডপ্রাপ্ত আসামী খালেক মাস্টারের ঘরে আটক রাখে। পরে বিয়ের কাজি মাওলানা শাহজাহানকে দিয়ে নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে বিয়ে রেজিস্ট্রি করায়। আসামী মাসুদ মনা নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে খালেক মাস্টারের বসত ঘরে রেখে একাধিকবার ধর্ষণ করে। 

ট্রাইব্যুনালে স্কুল ছাত্রীসহ ৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহন শেষে বিচারক রায় প্রদান করেন। রায়ে উল্লেখ করেন, আসামী মাসুদ মনা নাবালিকা স্কুল ছাত্রীকে জোর পূর্বক অপহরণ করে ধর্ষণ করেছে। আসামী আবদুল খালেক মাস্টার বাল্য বিয়ে ও ধর্ষণের সহায়তা করেছে। মাওলানা শাহজাহান কাজি একজন নাবালিকার বিয়ে রেজিস্ট্রি করে অপরাধ করেছে। নাবালিকার ধর্ষণের মেডিকেল পরীক্ষা তার সাক্ষ্য ও অন্যান্য সাক্ষ্য মামলার ঘটনা সমর্থন করে। 

রাস্ট্র পক্ষের আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জানান, বাদী ন্যায় বিচার পেয়েছেন। কাজিকে শাস্তি দেওয়া ন্যায় সঙ্গত। একজন কাজি নাবালিকা জেনেও তিনি বিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন। খালেক মাস্টার ধর্ষণ ও বাল্য বিয়ের সহায়তা করেছেন। 

আসামী পক্ষের আইনজীবী রনজু আরা শিপু বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপীল করব।