বরিশাল আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ

বরিশালে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জোর পূর্বক ভবন নির্মানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মো. কামাল হোসেন নামে স্থানীয় এক বাসিন্দার বিরুদ্ধে বিরোধীয় জমিতে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মোকাদ্দমা দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা। যার নম্বর ২৪৮/১৯।
ভুক্তভোগীয়দের অভিযোগ জমি ভাগ বাটোয়ারার পূর্বেই কামাল হোসেন জোর করে জমি দখল করে পাকা ভবন নির্মাণ করছেন। এতে পাশে থাকা একটি টিনের ঘরের চালাও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
এঘটনায় একই বাড়ীর মৃতঃ মো. হাবিবুর রহমানের স্ত্রী মোসাম্মৎ দেলোয়ারা বেগম এবং মৃতঃ মোঃ হাবিবুর রহমানের সন্তানরা বাদী হয়ে মোকাম বরিশাল সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মোকাদ্দমা দায়ের করেন। যার নং ২৪৮/১৯।
মামলার আরজিতে উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ কড়াপুর এলাকার পাঁচগ্রামে তফসিল বর্ণিত বিভাজ্য ভূমি বন্টন ক্রমে বাদীগণের অংশ বাবদ পৃথক বন্টনে ডিগ্রি পাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে। জেএল ১৯ নং দক্ষিণ কড়াপুর মৌজার আর.এস. ৫২২ তথা এস.এ ৫৫৯ নং খতিয়ানের ১৫২৭ নং দাগের হিং ১ আনী অংশে দশমিক ০৯ একর ভূমি। ওই মৌজার আর.এস. ৫০৯ তথা এস.এ.৮২৬নং খতিয়ানের ১৫৪২/১৫৪৩/১৫৪৪/১৫৪৫ নং দাগে দশমিক ২৮ একর ভুমি। ওই মৌজার আর.এস. ৫২১ তথা এস.এ ৮২৭নং খতিয়ানের ১৫৪২/১৫৪৩/১৫৪৪/১৫৪৫ নং দাগের দশমিক ৪৫ একর ভুমি। একই মৌজায় আর.এস ৩৮৮, এস.এ ৮২৫ নং খতিয়ানের ১৫৩৯/১৫৪০/১৫৪১ নং দাগের হিং ১ আনা দশমিক ৫৯ একর ভুমি। এখানে মোট বিভাজ্য ভূমির পরিমাণ ২দশমিক ৬৮ একর। এখানে বাদীগণের জমির দাবির পরিমান ২৬ দশমিক ৪৬ একর। তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে শালিস মিমাংশার চেষ্টা করলেও তা ব্যর্থ হয়েছে।
কোন প্রকার ভাগ বাটোয়ারা ছাড়াই মো. কামাল হোসেন জমি দখল করে বসত বাড়ি নির্মাণ করছেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে পরপর তিনটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদি মোসাম্মৎ দেলোয়ারা বেগম। এই মামলার অন্য বাদিরা হলেন মোসাম্মৎ দেলোয়ারা বেগম এর ছেলে সাইফুল ইসলাম হিরন, মেয়ে শারমীন আক্তার, সাথী আক্তার, রিতা আক্তার, আ. খালেকের স্ত্রী ফিরোজা বেগম।
মামলায় মোট ৪৩ জনের বিরুন্ধে অভিযোগ দেয়া হয়েছে। অভিযুক্তরা হচ্ছেন, মৃত. আফসার আলীর পরিবারের ৯জন, মৃত. জয়নাল আবেদীনের পুত্র মো. কামাল হোসেনসহ ৭জন। তবে মৃত. জয়নাল আবেদীনের পুত্র মো. কামাল, মৃত. আ. ছালামের পুত্র মো. রাজু, মৃত. আফসার আলীর পরিবারের জানু বেগম ও মো. হুমায়ুন কবীর এই ষড়যন্ত্রের সাথে লিপ্ত বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
এরমধ্যে কামাল তার সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করে জমির ভাগ বন্টন না করেই ভবন নির্মাণ করছে। এবিষয়ে ভুক্তভোগীরা জানান, কারো কথার তোয়াক্কা না করে মো. কামাল হোসেন ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিদেশী টাকা খরচ করে সন্ত্রাসী ভাড়া করে নিজ আত্মীয়-স্বজনদের হুমকী প্রদান করছে। বিষয়টি নিয়ে তারা আদালতে গেলে কামাল আরো ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
এবিষয়ে মো. কামালের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, কাজ বন্ধের জন্য আদালত থেকে কোন নির্দেশনা তাকে দেয়া হয়নি। এছাড়া বাদীপক্ষ তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তা সব খারিজ করে দিয়েছে আদালত।