বরিশাল-চট্টগ্রাম রুটে জাহাজ চলাচল শুরু

বরিশাল-চট্টগ্রাম রুটে ফের জাহাজ চলাচল দীর্ঘ এক যুগ পর শুরু হয়েছে। প্রথম ট্রিপে গত বৃহস্পতিবার রাতে বরিশালে এসে পৌঁছে বিআইডব্লিউটিসি’র নবনির্মিত অত্যাধুনিক জাহাজ তাজউদ্দিন আহমেদ।
জাহাজ চলাচলের খবরে বরিশাল অঞ্চলের ভ্রমন পিপাসু এবং ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। নদী আর সাগরপথে বরিশালের মানুষের দীর্ঘ এক যুগের প্রতিক্ষার অবসান ঘটছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে রহওয়ানা দিয়ে বিআইডব্লিউটিসি’র নবনির্মিত অত্যাধুনিক জাহাজ এমভি তাজউদ্দিন আহমেদ বৃহস্পতিবারই গভীর রাতে বরিশাল বন্দরে পৌঁছায়।
বিআইডব্লিউটিসির চট্টগ্রামের এজিএম গোপাল মজুমদার জাহাজ চলাচলের তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, চলতি বছর নির্মিত সংস্থার অত্যাধুনিক তাজউদ্দিন আহমেদ প্রথম চট্টগ্রাম থেকে বরিশাল ট্রায়াল ট্রিপে গেছে। তিনি বলেন, প্রথম দিকে পূর্বের ন্যায় ভাড়া থাকলেও পরবর্তীতে হেড অফিস থেকে সবকিছু যাচাই-বাছাই করে পুনরায় ভাড়া নির্ধারন করবে।
‘‘সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম থেকে বরিশালের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। টানা ৬ ঘণ্টায় তারা দুপুর ২টায় হাতিয়া পৌঁছায়। এরপর নোয়াখালীর চেয়ারম্যানবাড়ীর ঘাট (বয়ারচর) থেকে ভোলার ইলিশা পেড়িয়ে মেঘনা হয়ে বরিশাল পৌঁছায় এমভি তাজউদ্দিন আহমেদ।’’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কর্নফুলী নদী পেরিয়ে হাতিয়া পৌঁছাতে সাড়ে ৪ ঘণ্টাই বঙ্গোপসাগরের উপকূল পাড়ি দিতে হয়। শীত মৌসুমে সাগর পথে যাত্রীদের মনে হবে মায়ের কোলে আরামে আছেন। চারদিকে সমুদ্রের পানি ছাড়া আর কিছুই দেখা যাবে না।
বিআইডব্লিউটিসি’র এজিএম (কমার্স) ফয়সাল আলম চৌধুরী জানান, অত্যাধুনিক এ জাহাজে সাগরের আলাদা ফ্লেবার পাবেন যাত্রীরা। জাহাজটিতে তিনটি ডেকে যাত্রীরা পৃথক পৃথক আসনে ডেকে বসেও ভ্রমন পিপাসুরা উত্তাল নদী আর সাগরের মনমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে পাবেন। ৮শ’যাত্রী ধারণ ক্ষমতার জাহাজে প্রথম শ্রেনীর ৭টি কেবিন রয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসি বরিশালের এজিএম কে এম এমরান বলেন, বরিশাল-চট্টগ্রাম জাহাজ চালু হয়েছে। এখনও শিডিউল এবং ভাড়ার তালিকা পাননি। বরিশাল চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন, এ রুটে জাহাজ চলাচল করলে একদিকে যেমন ব্যবসায়ীদের মালামাল আনা নেওয়ায় সহজ হবে, তেমনি খরচও কমবে। সাধারন যাত্রীরা ঘুরতে কিংবা যেকোনো কাজে চট্টগ্রাম যেতে পারবেন সহজে।
জানা গেছে, ১৯৬৪ সালে এ রুটে প্রথম জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছিল। পরে আবার চালু হলেও ২০০৯ সালে ঠুনকো অযুহাতে এ রুটে জাহাজ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।