বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ২৮ প্রাার্থীর মনোনায়নপত্র জমা

বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ২৮ প্রাার্থীর মনোনায়নপত্র জমা

বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ২৮ প্রাার্থী তাদের মনোনায়নপত্র  জমা দিয়েছেন। গতকাল সোমবার নির্বাচন কমিশনের কাছে তারা ওই মনোনয়নপত্র জমা দেন। আগামী ১৩ ফেব্রয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, সভাপতি পদে অ্যাড. মজিবুর রহমান নান্টু, অ্যাড. আফজালুল করীম, অ্যাড. ডিকে চ্যাটার্জী, অ্যাড. হীরন কুমার দাস মনোনায়নপত্র জমা দিয়েছেন।

সহ-সভাপতি পদে অ্যাড. অসীম কুমার বাড়ৈ, অ্যাড. সুভাষ চন্দ্র বিপ্র বেদান্তি, অ্যাড. অসিত রঞ্জন দাস, অ্যাড. সেলিনা পারভীন, অ্যাড. সালাহ উদ্দিন শিপু। সাধারণ সম্পাদক পদে অ্যাড. এমএ জলিল, অ্যাড. মীর্জা মো. রিয়াজ হোসেন, অ্যাড. কাইয়ূম খান কায়সার। যুগ্ম সম্পাদক পদে অ্যাড. সালমা আক্তার, অ্যাড. আব্দুল খালেক মনা, অ্যাড. নিজাম উদ্দিন, অ্যাড. পরেশ চন্দ্র দে, অ্যাড. জাহিদুল ইসলাম পান্না, অ্যাড. আহাদ আলী খান। অর্থ সম্পাদক পদে অ্যাড. নিয়াজ মাহমুদ খান,  অ্যাড. এসএম শওকত জাহাঙ্গীর। এছাড়া নির্বাহী সদস্য পদে ৮জন প্রার্থী তাদের মনোনায়নপত্র জমা দিয়েছেন।

নির্বাচন উপ পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান-১ জানান, ১৩ ফেব্রুয়ারি বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তার অংশ হিসেবে আজ মনোনায়নপত্র গ্রহণ করা হয়েছে। ২৮ জানুয়ারি প্রার্থীদের খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। ২৯ জানুয়ারি বেলা ২টা পর্যন্ত প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সুযোগ দেয়া হবে। পরের দিন ৩০ জানুয়ারি দুপুর ২টায় চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। ১৩ ফেব্রয়ারি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

মাঝে দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত মধ্যাহ্ন ভোজের বিরতী থাকবে। এই নির্বাচনে ৮৬৬ জন আইনজীবী নির্বাচনে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। তিনি আরো জানান, আইনজীবী সমিতির গঠণতন্ত্রের ২০ এর ক, খ, গ ও ঘ ধারা অনুযায়ী সকল আইনজীবীকে মেনে চলতে হবে। যা কোনভাবে লঙ্ঘন করা যাবে না। এছাড়াও গত বারের ন্যায় এবারের নির্বাচনে প্যানেল ভিত্তিক নির্বাচন করা যাবে না।
এছাড়া কোনরূপ পোস্টার, প্রচার পত্র, প্লাকার্ড, মাইক্রোফোন মিছিল ও হাততালি দিয়ে শ্লোগানের মাধ্যমে প্রচার করা যাবে না। কোন সদস্য কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালাতে হলে নির্বাচন উপ পরিষদের পূর্ব অনুমতি লাগবে।

অন্যদিকে ভোট কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ব্যবহার করা যাবে না। একজনের সাথে অন্য কেউ কেন্দ্রে ঢুকতেও পারবে না। এধরণের কোন অভিযোগ পেলে তাতক্ষণিক ভাবে নির্বাচন উপ পরিষদ তার ভোট বাতিল করতে পারবে। এবারের নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে কোন এজেন্ট থাকবে না। এছাড়াও প্যানেল ভিত্তিক কোন সভা করতে পারবে না।