বরিশাল নগরীতে বিএনপি নেতা জহিরউদ্দিন স্বপনের বাসায় হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ

বরিশালের বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক সংসদ সদস্য জহির উদ্দিন স্বপনের বাসায় হামলা ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় ৩ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে তাঁর বাসভনে দলীয় সভা চলাকালীন সময় হামলা চালানোর অভিযোগ করা হয়েছে।
রোববার দুপুর পৌনে ২টায় নগরীর ভাটিখানা এলাকায় স্বপনের বাসায় ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
বিএনপি নেতা ও সাবেক সাংসদ জহিরউদ্দিন স্বপনের অভিযোগ, সভা চলাকালীন অজ্ঞাননামা সন্ত্রাসীরা সেখানে হামলা চালায়। তাদের হামলায় ৩জন আহত হয়েছে। হামলাকারীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ৩টি মূল্যবান মুঠোফোন ছিনিয়ে নেয়। হামলাকারীদের নাম-পরিচয় জানাতে না পাড়লেও তারা সরকারী দলের লোকজন বলে দাবি করেছেন স্বপন।
তিনি জানান, আগামী ৩০ জানুয়ারী গৌরনদী পৌরসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী জহির সাজ্জাদ হান্নান ও তার কর্মী-সমর্থকদের প্রচারনায় নামতে দিচ্ছেনা ক্ষমতাসীনরা। নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। এ অবস্থায় করণীয় নির্ধারণে গতকাল সকালে তার নিজ বাসায় গৌরনদী পৌর ও উপজেলা বিএনপি নেতৃবৃন্দকে নিয়ে মতবিনিময় করছিলেন তিনি।
দুপুর পৌনে ২টার দিকে একদল অপরিচিত লোকজন লাঠিসোটা নিয়ে আকস্মিক সভাস্থলে হামলা চালায়। তারা সভায় অংশগ্রহণকারী বিএনপি নেতাকর্মীদের বেধরক মারধর এবং চেয়ার ও মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে। হামলায় গৌরনদীর বিএনপি নেতা শামসুল আলম, মোয়াজ্জেম হোসেন এবং ছাত্রদল নেতা হাফিজুল ইসলাম আহত হয়। এ সময় তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের ৩টি মোবাইল ফোন লুট করে। আকস্মিক হামলায় তারা হতভম্ভ হয়ে পড়েন। গৌরনদী পৌর নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহণ বাঁধাগ্রস্ত করতে উচ্চ মহলের নির্দেশে সরকারী দলের লোকজন এই হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিএনপির সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী কাউনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মো. আহসান জানান, হামলার খবর শুনে তারা সাবেক এমপি জহির উদ্দিন স্বপনের বাসায় গিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।