দেশব্যাপী লঞ্চ মালিকদের ডাকা ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। বুধবার বিকেল চারটার দিকে লঞ্চ মালিকদের আকস্মিক ধর্মঘট শুরুর সাড়ে ১২ঘন্টা পর আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটায় যাত্রীবাহী নৌযানে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন নেতারা। এর পরপরই বরিশাল নদী বন্দর থেকে স্থানীয়, অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটের লঞ্চ চলাচল শুরু হয়।
লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, তারা সরকারি গেজেট অনুযায়ী শ্রমিকদের বেতন-ভাতা দিচ্ছেন। তারপরও শ্রমিকরা নিত্য নতুন দাবি তুলে যাত্রীদের জিন্মি করছে। এর প্রতিবাদে লঞ্চ মালিকরা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিল। কিন্তু বন্যা, হজ এবং আসন্ন ঈদের কথা চিন্তা করে লঞ্চ মালিক সমিতি আপাতত ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে। তবে কথায় কথায় কর্মবিরতি করে মালিক ও যাত্রীদের স্বার্থহানিসহ জিন্মি করাার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের বিরুদ্ধে লঞ্চ মালিকরা দুটি মামলা করেছে।
এর আগে, ১১ দফা দাবিতে গত মঙ্গলবার মধ্য রাতে সারাদেশে সব ধরনের নৌযানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দেয় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। এতে বুধবার সারাদেশে নৌ যোগযোগ অচল হয়ে যায়। থমকে যায় যাত্রী, পণ্য ও জ্বালানি পরিবহন। বিশেষ করে গণমাধ্যমে যাত্রীদের দুর্ভোগের বিষয়টি ফুঁটে উঠলে মন গলে নৌযান শ্রমিকদের। বুধবার বিকেল ৪টায় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন যাত্রীদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে শুধুমাত্র যাত্রীবাহী নৌযানে শ্রমিক কর্মবিরতি স্থগিত করে। দাবি পূরণের আশ্বাসে ঐদিন রাত ৮টায় নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন জ্বালানি ও পণ্যবাহী নৌযানেও কর্মবিরতি স্থগিত করে।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম ভূঁইয়া জানান, দেশে বন্যা পরিস্থিতি, সামনে ঈদ এবং প্রধানমন্ত্রী দেশে নেই। এমন অবস্থায় শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালকের অনুরোধে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে শ্রমিকদের দাবি নিস্পত্তি করার আশ্বাস দেওয়ায় বুধবার রাত ৮টায় সকল ধরনের নৌযানে শ্রমিক কর্মবিরতি স্থগিত করে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন। প্রতিশ্রুত সময়ের মধ্যে মালিকরা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেবেন বলে তারা আশা করেন