বরিশাল বিমান বন্দরের রানওয়ে জরুরী পরিদর্শনে বিমান ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

সুগন্ধা নদীর ভাঙনে হুমকীর মুখে বরিশাল বিমান বন্দরের রানওয়ে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে আসন্ন বর্ষায় রানওয়ের উত্তরপ্রান্তের একাংশ নদী গর্ভে বিলীন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বরিশাল বিমান বন্দরের উত্তরপ্রাপ্ত বকুলতলা পয়েন্টে নদী ভাঙনের ব্যাপকতা পরিদর্শন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী। এ সময় সুগন্ধা নদীর ভাঙন থেকে বিমান বন্দর রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন দুই প্রতিমন্ত্রী। একই সঙ্গে বিমান বন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণের কথা জানান তারা।
শনিবার সকাল ১০টায় বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এমপি এবং পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক এমপি যৌথ ব্রিফিংয়ে বিমান বন্দর এলাকার ভাঙন প্রতিরোধ এবং বিমান বন্দরের আধুনিকায়নের কথা জানান।
বিমান প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুগন্ধা নদীর ভাঙনের কবল থেকে বিমান বন্দর রক্ষায় স্থানীয় প্রতিরক্ষা বাঁধ দেয়া হবে। এ লক্ষ্যে একটি বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এছাড়া রানওয়ে ৭৫০ ফুট সম্প্রসারণ এবং টার্মিনাল আধুনিকায়ন করা হবে।
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী বলেন, সুগন্ধা নদীর ভাঙন রোধের জন্য সমীক্ষা করা হচ্ছে। প্রকল্প পাশ হলে স্থায়ী প্রতিরক্ষায় কাজ শুরু হবে। তবে আগামী বর্ষার আগে জরুরী ভাঙন রোধে ১ হাজার ১০০ মিটার নদী তীরে জিও ব্যাগ ফেলে রানওয়ে সুরক্ষা করা হবে।
বিমান বন্দর পরিদর্শন ও সাংবাদিকদের ব্র্রিফিংকালে সংশ্লিষ্ট দুই মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
উল্লেখ্য, সুগন্ধা নদীর ভাংগনে প্রতি বছর একটু একটু করে বিলীন হচ্ছে বরিশাল বিমান বন্দরের ৬ হাজার ফিট রানওয়ের উত্তরপ্রান্ত। এই মহূর্তে বিমান বন্দরের উত্তরপ্রান্তের সিমানা প্রাচীর থেকে সুগন্ধা নদীর দূরত্ব মাত্র ৫০ মিটার।