বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে ৭ জনের মৃত্যু

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) করোনা ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে দিন দিন বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। গতকাল শুক্রবারও এই ওয়ার্ডে মারা গেছে সাতজন।
শনিবার চিকিৎসাধীন ছিল রেকর্ড সংখ্যক ১৮২ জন রোগী। এদিকে, মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্তের হার ৫৪ ভাগ ছাড়িয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক কার্যালয়ের করোনা তথ্য বিশ্লেষণে জানা যায়, গত শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টের অপেক্ষায় আছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আগের ২৪ ঘণ্টায়ও করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে, দিন দিন করোনা ওয়ার্ডে বাড়ছে রোগীর চাপ। গত ২৪ ঘণ্টায় চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৮ জন রোগী। একই সময়ে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৪২ জন রোগী করোনা ওয়ার্ডে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার দুপুর পর্যন্ত হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল রেকর্ড সংখ্যক ১৮২ জন রোগী। যার মধ্যে ৩৪ জনের করোনা পজেটিভ। গত বছরের মার্চে করোনা ওয়ার্ড চালুর পর এই প্রথম রোগী ভর্তির সংখ্যা ১৮২ ছুঁয়েছে।
অপরদিকে, মেডিকেল কলেজের আরটি পিসিআর ল্যাবেও বাড়ছে করোনা শনাক্তের হার। সবশেষ প্রকাশিত রিপোর্টে ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ১০৪ জনের। শনাক্তের হার ৫৪.৭৩ ভাগ। এর আগের দিন শুক্রবারের রিপোর্টে শনাক্তের হার ছিল ৫৩.৩৬ ভাগ।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত এই হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডে ৭৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ২০৮ জনের করোনা পজেটিভ ছিল।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানান, শের-ই বাংলা মেডিকেলের করোনা ওয়ার্ডে এই মুহূর্তে মোট ২০০টি শয্যা রয়েছে। সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম আছে ২০০ বেডেই। আইসিইউ চালু আছে ২২টি। হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা চালু আছে ২২টি। আরও ২২টি হাইফ্লো ন্যাজাল ক্যানুলা সংযোজনের কাজ চলছে। হাসপাতালে অক্সিজেন ধারণ ক্ষমতা ২০ হাজার লিটার।