বরিশালে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের দায়ে ৩ বাসে জরিমানা

বরিশালে অতিক্তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগে ৩টি বাসকে আর্থিক জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। একই সঙ্গে মাস্ক না পড়ায় এক যাত্রীকে ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। একই সঙ্গে মাস্ক ব্যবহার এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হুঁশিয়ারীও দেওয়া হয়।
শনিবার সকালে নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে ঢাকা থেকে আগত ৩টি যাত্রীবাহি বাস থেকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে র্যাবের সহায়তায় এই অভিযান পরিচালিত হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত থেকে জানা যায়, বরিশালে গণপরিবহনে নৈরজ্য কমছে না। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষাসহ সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ রয়েছে দূরপাল্লা রুটের বাস কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তবে টিকেটে টাকা লেখা হচ্ছে নির্ধারিত ভাড়ার অংক। গণপরিবহনেও মাস্কবিহীন যাত্রী বাড়ছে প্রতিনিয়ত। জীবানুনাশক স্প্রে, স্বাস্থ্যবিধি বাস্তবায়নেরও তেমন উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্টদের।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে ঢাকা থেকে আগত ৩টি যাত্রীবাহি বাস থেকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। একই সঙ্গে মাস্ক না পড়ায় এক যাত্রীকে ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এছাড়া অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন রুটের বিভিন্ন থ্রি-হুইলারের মাস্কবিহীন যাত্রীদের মাস্ক কিনে পড়তে বাধ্য করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
শুরুতে ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রিয় বাস টার্মিনালে অভিযান চালায়। এ সময় ঢাকা থেকে আগত সাকুরা পরিবহন, জিএস এবং অন্তরা পরিবহনের যাত্রীরা ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ করেন। সাকুরা পরিবহনে টিকেটে ৯৬০ টাকা ভাড়া লেখা হলেও যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় ১২০০ টাকা। এছাড়া জিএস পরিবহন এবং অন্তরা পরিবহনেও নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
এ সময় ভ্রাম্যমান আদালত ওই ৩টি বাস থেকে ১৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেন। একই সঙ্গে এক বাস যাত্রী ফেস মাস্ক না পড়ায় তাকে ২০০ টাকা জরিমানা করেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত নগরীর কাশীপুর এবং নতুনবাজার এলাকায় স্থানীয় ও অভ্যন্তরীন রুটের বিভিন্ন থ্রি-হুইলারে স্বাস্থ্য বিধি পর্যবেক্ষন করেন। এ সময় ফেস মাস্ক বিহীন যাত্রীদের নিজ নিজ পকেটের টাকা দিয়ে মাস্ক কিনে পড়তে বাধ্য করাসহ করোনা সংক্রমণ এড়াতে সকলকে সচেতন ও সতর্ক করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াউর রহমান।