বরিশালে আম-বিস্কুটের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ৯৯৯-এ ফোন

বরিশালে আম-বিস্কুটের প্রলোভনে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, ৯৯৯-এ ফোন
বরিশালে চতুর্থ শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এরপর ওই ছাত্রীর প্রতিবেশি জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করলে সাথে সাথে ধর্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধর্ষিতা নগরীর রসুলপুরচরের আরবান স্লাম আনন্দ স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই ছাত্রী জানায়, গত বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে সে পরীক্ষা শেষে বাসায় ফিরে মায়ের কাছে খাবার চায়। ঘরে খাবার না থাকায় তার মা তাকে পার্শ্ববর্তী দোকানে খাবার কেনার জন্য পাঠায়। পথে একই এলাকার বাসিন্দা বারেক হাওলাদার তাকে আম ও বিস্কুট দেওয়ার কথা বলে ফুসলিয়ে নিজের বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে। এরপর ওই ছাত্রী বাসায় গিয়ে তার মাকে ঘটনা জানায়। এদিকে ওই ছাত্রীর মা জানান, তার মেয়ে বাসায় এসে তাকে যৌন নির্যাতনের কথা জানালে তিনি প্রতিবেশী কয়েকজন নারীকে নিয়ে বিষয়টি পরখ করেন। তিনি এক প্রতিবেশীকে বিষয়টি জানান। ওই প্রতিবেশী ৯৯৯ এর মাধ্যমে পুলিশকে অবহিত করেন। পুলিশ এসে অভিযুক্ত বারেক হাওলাদারকে গ্রেফতার করে। ওই ছাত্রীর মা বলেন, রসুলপুর চরে তার মেয়ের মতো অনেক শিশুর বসবাস। আর কোন শিশু যাতে এভাবে যৌন নির্যাতনের শিকার না হয়, সে জন্য অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চান তিনি। প্রতিবেশী কলেজ শিক্ষার্থী মো. জীবন জানান, শিশুটি ধর্ষণের পর তার পরিবার ঠিক বুঝে উঠছিলা না কি করা উচিত। তাই তিনি স্বপ্রণোদিত হয়ে পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন। কিছুক্ষণ পরই পুলিশ অভিযুক্ত বারেককে গ্রেফতার করে। কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম জানান, ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে থানায় মামলা করে। ওই মামলায় বারেকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি। এদিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য শুক্রবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মুশফিকুর রহমান রাজিব জানান, শিশুটিকে ধর্ষণের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) প্রেরণ করা হয়েছে।