বরিশালে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপকের কারাদণ্ড

গ্রাহকের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মানি লন্ডারিং মামলায় বরিশালের রায়পাশা শাখা গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপক দেলোয়ার হাসানকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৪ কোটি ৯৩ লাখ ২২ হাজার ৪৩৮ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।
দেলোয়ার হাসানের স্থাবর/অস্থাবর সম্পদ বিক্রি করে জরিমানার টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন আদালত।
বরিশাল বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক মো. মহসিনুল হক গত মঙ্গলবার বিকেলে এই রায় ঘোষণা করে। রায় ঘোষণার সময় দন্ডপ্রাপ্ত দেলোয়ার আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি যশোর জেলার ছাতিয়ানতলা এলাকার জয়নাল আবেদিন দফাদারের ছেলে।
আদালতের বেঞ্চ সহকারি হারুন-অর রশিদ জানান, ২০১০ সালের ১ আগষ্ট থেকে ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংকের রায়পাশা শাখার ব্যবস্থাপক থাকাকালে দেলোয়ার হাসান বিভিন্ন পন্থায় ৪৭৬ জন গ্রাহকের কাছ থেকে ২ কোটি ৩৮ লাখ ১৯ হাজার ১০৭ টাকা, ওই শাখার ভোল্ট থেকে ১ লাখ ১০৫ টাকা এবং সোনালী ব্যাংক বরিশাল শাখা থেকে ৭ লাখ ২৪ হাজার ৭ টাকাসহ সর্বমোট ২ কোটি ৪৬ লাখ ৬১ হাজার ২১৯ টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করে।
এ ঘটনায় ২০১২ সালের ৩০ জুলাই বরিশাল দুদকের উপ-পরিচালক আ. কে মজুমদার মানি লন্ডারিং আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ২০১৬ সালের ২২ জুন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক মতিউর রহমান আদালতে ওই মামলার অভিযোগপত্র জমা দেন। আদালতে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ওই রায় ঘোষণা করেন বিচারক।
ভোরের আলো/ভিঅ/১৬/১২/২০২০