বরিশালে চামড়া কেনার সিদ্ধান্তে প্রভাব পড়েনি

সরকারের চামড়া কেনার সিদ্ধান্তে বরিশালে তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি ব্যবসায়ীদের মধ্যে। এ সিদ্ধান্ত আরও আগে নিলে মৌসুমি ও ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ীরা উপকৃত হতেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বরিশালে সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এবারই সবচেয়ে কম পরিমাণ চামড়া সংগ্রহ করেছেন ব্যবসায়ীরা।
বরিশাল শহরের পদ্মাবতী এলাকার চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, এবারে সংগৃহীত চামড়ার সংখ্যা ১০ হাজার পিসের মত। অন্যান্য বছর যেখানে সংগ্রহ হত ৫০ হাজার পিস।
এদিকে, ক্ষুদ্র চামড়া ব্যবসায়ী কেরামত মিয়া জানান, তিনিসহ আশপাশের ব্যবসায়ীরা সরকারের চামড়া কেনার খবর জেনেছেন মিডিয়ার মাধ্যমে। এখন পর্যন্ত তাদের কাছে সরকারের পক্ষ থেকে কেউ চিঠি বা ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করেনি। তাই কোথায়, কীভাবে এবং কে চামড়া কিনবে এ বিষয়ে তাদের জানা নেই।
অপরদিকে এখনও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের মধ্যে যাদের হাতে চামড়া আছে, তারা সঠিক দাম না পাওয়ায় চামড়া বিক্রি না করতে পারার অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাইকারি বাজারে দুই থেকে তিনশ’ টাকা গরুর চামড়ার দর হওয়ায়, মাঠপর্যায়ে ১২০ থেকে ১৮০ টাকার ওপরে চামড়ার দর ওঠেনি। তাই এবারে বেশিরভাগ কোরবানিদাতা মাদ্রাসা ও এতিমখানায় নগদ টাকার বদলে সরাসরি চামড়া দিয়ে দিয়েছেন। তারপর যেসব মাদ্রাসা ও এতিমখানার লোকজন বেশি চামড়া সংগ্রহ করতে পারেনি, তাদের শ্রমের মজুরিই ওঠেনি চামড়া বিক্রি করে।