বরিশালে চালু হলো রক্তের প্লাটিলেট আলাদাকরণ মেশিন

শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬৬ জনসহ বরিশাল বিভাগে ৯৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যুর পর অবশেষে রক্তের প্লাটিলেট আলাদাকরণ এফেরেসিস (ফেকো) মেশিন এসেছে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় এফেরেসিস মেশিনের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম।
এ সময় পরিচালক জানান, সম্প্রতি সেন্ট্রাল মেডিকেল স্টোর থেকে মেশিনটি সরবরাহ করা হয়েছে। হাসপাতালের রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রে মেশিনটির কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। মেশিনের সঙ্গে প্লাটিলেট সেপারেশন কিটসও সরবরাহ করা হয়েছে। স্বল্প খরচে মেশিনটি দিয়ে রক্তের প্লাটিলেট আলদাকরণের সেবা গ্রহণ করতে পারবেন রোগীরা।
তিনি আরও বলেন, শের-ই বাংলা মেডিকেলসহ দক্ষিণাঞ্চলের কোনো হাসপাতালে রক্তের প্লাটিলেট আলাদাকরণ (এফেরেসিস) মেশিন ছিল না। ডেঙ্গু, ক্যান্সার, থেলাসেমিয়া ও আইটিপি রোগীদের জন্য মেশিনটি অত্যন্ত কার্যকারী। এই মেশিনটির অভাবে এখানকার রোগীদের রাজধানী যেতে হতো। ফেকো মেশিনের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় এখন আর কোনো ডেঙ্গু রোগীকে ঢাকায় যেতে হবে না।
রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা সিনিয়র মেডিকেল স্টোর অফিসার ডা. নূরুন্নবী চৌধুরী তুহিনের সভাপত্বিত্বে এফেরেসিস মেশিন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইমরুল কায়েস, সার্জারি বহির্বিভাগের আবাসিক সার্জন ও আউটডোর ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন’র সভাপতি ডা. সৌরভ সুতার, নাক কান গলা বহির্বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. চিরঞ্জিব সিনহা পলাশ ও ডা. মোস্তফা কামালসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনসহ চলতি মৌসুমে বরিশাল বিভাগে ৯৭ জন ডেঙ্গু রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে ৬৬ জন ডেঙ্গু রোগীর।
এদিকে এফেরেসিস মেশিনের পাশাপাশি প্লাটিলেট ইনকিউবেটার মেশিন এবং একটি রেফ্রিজারেটরও সরবরাহ করা হয়েছে।
রক্ত পরিসঞ্চালন বিভাগের ডা. নূরুন্নবী চৌধুরী তুহিন জানান, দীর্ঘ চেষ্টার পর এফেরেসিস মেশিন পেয়েছি। এর সঙ্গে প্লাটিলেট ইনকিউবেটর মেশিন এবং একটি রেফ্রিজারেটরও সরবরাহ করা হয়েছে। প্লাটিলেট ইনকিউবেটর মেশিনের সাহায্যে এফেরেসিস থেকে পাওয়া রক্ত ৪ থেকে ৫ দিন সংরক্ষণ এবং নতুন রেফ্রিজারেটরে এক সঙ্গে ৮৪ ব্যাগ রক্ত সংরক্ষণ করা যাবে।