বরিশালে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি

বরিশালে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের ৫ দাবি

সেশন জট নিরসন ও দ্রুত পরিক্ষাসহ ৫ দফা দাবিতে বরিশালে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।

বৃহষ্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সামনে সিঅ্যান্ডবি রোডে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, শহীদ আবদুর রব সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীসহ বুটেক্সের অধিভুক্ত ৭টি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের সম্প্রতি করোনা পরিস্থিতির জন্য শিক্ষাজীবন থেকে অতি মূল্যবান প্রায় ১টি বছর বিনষ্ট হয়ে গেছে। আরও একটি বছর শেষ হওয়ার পথে। যেখানে দেশের অন্য সকল বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সেশন জট নিরসনে দ্রুত সময়ে পরীক্ষা সম্পন্ন করছে, একাধিক সেমিস্টার পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে, সেখানে আমাদের বুটেক্স অধিভুক্ত টেক্সটাইল কলেজগুলোর অনলাইন এ সম্পন্নকৃত সেমিস্টার গত ৫ মাসে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকা সত্ত্বেও শেষ হয়নি। অ্যাকাডেমিক বিষয়ে আমাদের কলেজগুলোর প্রশাসন, বুটেক্স প্রশাসন ও বস্ত্র মন্ত্রণালযয়ের সমন্বয়হীনতায় আমাদের শিক্ষাজীবনকে আরো সংকীর্ণ করছে। এমতাবস্থায় আমরা বুটেক্স অধিভুক্ত সকল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ সম্মিলিতভাবে মানববন্ধন এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা তাদের ৫ দফা দাবির কথা তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো- করোনা মহামারি চলাকালীন সময়ে যে সেমিস্টার লস হয়েছে তা পুষিয়ে নিতে সর্বোচ্চ চার মাসের সেমিস্টার করে দ্রুত রিকোভারি প্লান দিতে হবে। পরীক্ষার ফলাফল (সর্বোচ্চ ৬০ দিনের ভেতর), পরীক্ষার রুটিন ও অন্যান্য কার্যসূচি দ্রুত প্রকাশ করতে হবে। চতুর্থ বর্ষের সকল কার্যক্রম(৪-১, ৪-২ এর পরীক্ষা ও কমপ্রিহ্যানসিভ ভাইবা) আগস্টের মধ্যে শেষ করতে হবে। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদের জুলাইয়ের মধ্যে ২-২ এবং ৩-২ পরীক্ষা শেষ করতে হবে এবং সেশনজট নিরসন না হওয়া পর্যন্ত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বর্ষের পরবর্তী সেমিস্টারগুলো প্রতিটি ৪ মাসে শেষ করতে হবে। সেমিস্টারের রেজাল্ট প্রকাশিত করার পরপরেই মার্কশিট প্রদান করতে হবে এবং প্রতি সাজেক্টে ইমপ্রুভমেন্ট পরীক্ষা ও রিটেক পরিক্ষার ফি অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে ২০০-৩০০ টাকায় নিয়ে আসতে হবে। সব কলেজের অধ্যক্ষসহ একজন করে শিক্ষক প্রতিনিধি নিয়ে একটি স্বতন্ত্র বোর্ড গঠন করতে হবে, যাতে করে পরীক্ষার সময়সূচি, রেজাল্ট, মার্কশিট ও অন্যান্য বিষয়ে দ্রুত এবং কার্যকর ও চূড়াান্ত পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হয়।