বরিশালে তারেক রহমানের জন্মদিনে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ,৩ জন হাসপাতালে

বরিশালে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপির আলোচনা সভায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে এক নারী নেত্রী সহ তিনজন আহত হয়েছে।
রবিবার বিকেলে সোয়া ৪টার দিকে নগরীর সদর রোডের বিএনপি দলীয় কার্যলয়ের সামনে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ কারনে আলোচনা সভা প্রায় আঘন্টা বন্ধ থাকে।
প্রতক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনা ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৮তম জন্মদিন উপলক্ষে বিকেল সাড়ে ৩টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপির আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
মহানগর বিএনপির সদস্য আফরোজা খানম নাসরিনকে সভা মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেয়া নিয়ে হট্টগোল বাঁধে। এক পর্যায়ে নাসরিনের অনুসারীদের সাথে মহানগর বিএনপির আহবায়ক ও সদস্য সচিবের অনুসারীদের হাতাহাতি এবং চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু হয়। এসময় উভয় পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে আফরোজা খানম নাসরিন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক লিটু সিকদার ও ২২নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ইলিয়াস আহমেদ এবং দলীয় প্রতিপক্ষের কয়েকজন আহত হয়।
ঘটনাস্থলের অদূরে পুলিশ থাকলেও তারা দুই পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেনি। সংঘর্ষের কারণে আলোচনা সভা প্রায় অর্ধঘন্টা বন্ধ থাকে ।
আফরোজা খানম নাসরিন জানান, তিনি দলের যে কোন অনুষ্ঠান মঞ্চে উঠলেই তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন আহবাক ও সদস্য সচিব। আলোচনা সভার মঞ্চ থেকে তাকে নামিয়ে দেয়া হলে তার অনুসারীরা এর প্রতিবাদ করে। এসময় আহবায়ক এবং সদস্য সচিবের অনুসারীরা তাদের চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। হামলায় তিনি সহ আহত ৩ জন শেরে বাংলা মেডিকেলে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির বলেন, আলোচনা সভার মঞ্চে মহানগর বিএনপির সিনিয়র সদস্য নুরুল আলম ফরিদকে উঠানো হলে নাসরিনও মঞ্চে ওঠে। নাসরিনকে মঞ্চ থেকে নেমে যেতে বললে সে সিনিয়র নেতাদের উদ্দেশ্য করে গালাগাল করে। এ নিয়ে সামান্য হাতাহাতি হয়েছে। তবে কোন সংঘর্ষ হয়নি। নাসরিন উদ্দেশ্য মূলক ভাবে গন্ডোগোল বাঁধিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় প্রায় অর্ধ ঘন্টা বন্ধ থাকার পর ফের আলোচনা সভা শুরু হয়। মহানগর বিএনপির আহবায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপন। বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলী হায়দার বাবুল ও সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির সহ অন্যান্যরা।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম জানান, সংঘর্ষের বিষয়ে কোন পক্ষ পুলিশকে অবহিত করেনি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।