বরিশালে দুর্গোৎসবে করোনার প্রভাব

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সব চেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূঁজা ঘিরে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে বরিশালে। এবার জেলা ও মহানগরীতে ৫শ’ ৯০টি সার্বজনীন মন্দিরে আয়োজন করা হয়েছে দুর্গোৎসবের। তবে করোনার কারনে আলোকসজ্জা এবং তোরন সহ থাকছে না কোন বাড়তি আয়োজন। করোনার কারনে ব্যাপক আয়োজন না থাকায় কমেছে প্রতীমা তৈরীর কারিগরদের মজুরীও। এদিকে দুর্গোৎসবের সার্বিক নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন মেট্রো পুলিশ কর্মকর্তারা।
বরিশালের মন্দিরগুলোতে প্রতীমা তৈরীতে মাটির কাজ প্রায় শেষ। এর পর হবে রং-তুলির কাজ। পড়ানো হবে পোষাক এবং গহনা। বরিশাল জেলা ও মহানগরীর সব সার্বজনীন মন্দিরেই একই দৃশ্য। এদিকে আগে প্রতীমা তৈরীর কারিগররা দুর্গোৎসবের সময় ভালো আয় রোজগার করলেও করোনার থাবা পড়েছে তাদের উপরও। মন্ডপের সংখ্যা না কমলেও করোনার কারনে কমেছে তাদের পারিশ্রমিক। এ কারনে তাদের কন্ঠে শুধুই হতাশা।
নগরীর বাকলার মোড় শ্রী শ্রী রাধা গোবিন্দ নিবাস মন্দির কমিটির সদস্য মিঠুন গ্বোস্বামী বলেন, করোনার কারনে মন্দির কমিটির সদস্যদের চাঁদা আদায় কমেছে। অনুদানও তেমন আসছে না। মন্দিরগুলোতে রয়েছে আর্থিক দৈন্যতা। এ কারনে অনেকটা সাদামাটা আয়োজনের মধ্য দিয়ে দুর্গোৎসব পালন করবেন তারা।
বরিশাল মহানগর পূঁজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা বলেন, নিয়ম রক্ষার্থে এবার দুর্গোৎসবের আয়োজন করেছেন তারা। বাহিরের সাঁজসজ্জা, তোরন, আলোকসজ্জা কোন কিছুই থাকছে না এবারের পুঁজা উৎসবে। তবে পূঁজার সময় স্বাস্থ্য বিধি রক্ষায় সচেস্ট থাকবেন তারা।
এদিকে দুর্গাপূঁজা উৎসবমূখর, শান্তিপূর্ন ও নির্বিঘ্ন করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রো পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিন) মো. আলী আশরাফ ভূঁঞা।
এবার ঘটকে (ঘোড়া) চরে আসবেন দেবী দুর্গা। যাবেন দোলায় চেপে। মর্তের মাটিতে ধ্বনিত হবে শাখ আর ঢাকের বায়া। আকাশে বাতাসে ভেসে আসছে দুর্গার আগমনি বার্তা। আগামী ১১ অক্টোবর অধিবাসের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দুর্গোৎসবের কার্যক্রম। পরদিন ১২ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক পূঁজা শুরু হবে। ১৫ অক্টোবর দশমীর মধ্য দিয়ে উৎসবের পরিসমাপ্তি হবে বলে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা জানিয়েছেন।