বরিশালে দেশের প্রথম বেসরকারিভাবে এআই এমএস সার্টিফাইড ম্যারাথন

'সামাজিক সম্প্রীতি মানবতার ভিত্তি' স্লোগান নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত দেশে প্রথমবারের মত বেসরকারিভাবে এআই এমএস সার্টিফাইড ৪২.১৯৫ কিলোমিটার দূরত্বের রেস ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (৪ মার্চ) ভোর ৬টায় বিজ্ঞান সংগঠন কসমিক কালচারের আয়োজনে দ্বিতীয়বারের মত 'বরিশাল ম্যারাথন' এর আয়োজন করা হয়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ৪টি ক্যাটাগরির প্রায় ৪'শ রানার এই ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেন।
কসমিক কালচার এর সাধারণ সম্পাদক জুয়েল কর্মকার বলেন, ‘গতবার আমরা ম্যারাথনের প্রথম আসরের আয়োজন করি। যেই আয়োজন ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে।'
তিনি আরো বলেন, ‘ এ বছর ম্যারাথন ও হাফ ম্যারাথন, ১০ কিমি. এবং ৫ কিমি. রান এই চারটি ক্যাটাগরিতে রানার নিয়ে বড় পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে। আমাদের সঙ্গে সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে 'বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন' এবং পোষাক ব্রান্ড প্রতিষ্ঠান 'সেইলর।'
কসমিক কালচারের সভাপতি ডা. অনিষ মন্ডল বলেন, ‘এই আয়োজন বরিশালের ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতিকে দেশের ও দেশের বাইরের মানুষদের কাছে উপস্থাপন করছে। এ বছর ম্যারাথনে ১৮ বছর বা তদুর্ধ, হাপ ম্যারাথন ১৬ বছর বা তদুর্ধ, ১০ কি.মি রান ১৪ বছর বা তদুর্ধ, এবং ৫ কি.মি রান ১০ বছর বা তদুর্ধ ক্যাটাগরি ভিত্তিক রানার অংশগ্রহণ করে।'
তিনি আরো বলেন, 'প্রতিযোগীরা ক্যাটাগরিভিত্তিক কাট অফ টাইমে সবচেয়ে কম সময়ে নির্ধারিত রুট দিয়ে ফিনিশিং লাইন অতিক্রম করে, তাদের তালিকা অনুসারে সর্বমোট ৩০ জন রানারকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এরমধ্যে ম্যারাথন ও হাফ ম্যারাথনে এর জন্য চারটি এবং ১০ ও ৫ কিলোমিটার রানে দুইটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ী নির্ধারণ করে পুরস্কৃত করা হয়।'
এদিকে নগরীর সরকারি ব্রজমোহন কলেজের প্রথম গেট থেকে ম্যারাথন দৌড় শুরু হয়। পরে এটি নগরের নতুন বাজার, হাসপাতাল রোড, জেলখানার মোড়, সদর রোড, জিলা স্কুল মোড়, রাজাবাহাদুর সড়ক, শিশু পার্ক মোড়, চাঁদমারী মোড়, ডিসি বাসভবন মোড়, আবার বাহাদুর শাহ সড়ক, জিলা স্কুল মোড়, সদর রোড, জেলখানার মোড়, হাসপাতাল রোড, নতুন বাজার, মড়কখোলার পুল, লাকুটিয়া সড়ক, বাবুগঞ্জ বাজার, বরিশাল বিমানবন্দর, বাবুগঞ্জ বাজার, লাকুটিয়া সড়ক, মড়কখোলার পুল, রামকৃষ্ণ মিশন হয়ে পুনরায় সরকারি ব্রজমোহন কলেজের প্রথম গেটে এসে শেষ হয়।