বরিশালে নৌযান চালুর দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

বরিশালে যাত্রীবাহি নৌযান চালুর দাবিতে বিক্ষোভ করেছে নৌযান শ্রমিকরা। দ্রুত সময়ে নৌযান চালুর দাবিতে পরে তারা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। এ সময় নৌযান চালুর পক্ষে নানা শ্লোগান দেন তারা। নৌযান চালু না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারী দিয়েছেন নৌযান শ্রমিক নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বরিশাল নদী বন্দরে বিক্ষোভ মিছিল করে নৌযান শ্রমিকরা। নদী বন্দরের পন্টুনের উত্তর প্রান্ত থেকে মিছিল শুরু করে নদী বন্দরের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে।
নৌযান শ্রমিক ও নেতারা বলেন, সরকারী নির্দেশে গত ৫ মার্চ থেকে করোনার কারণে যাত্রীবাহি নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। একটানা ৪৩ দিন লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকলেও শ্রমিকরা বেতন-বোনাস পাননি। ২/১ জন লঞ্চ মালিক সামান্য কিছু টাকা দিলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। এ অবস্থায় শ্রমিকদের পরিবার অসহায় জীবন যাপন করছে। আধাবেলা একবেলা খেয়ে কোন রকম বেঁচে আছে। অন্যদিকে সরকার করোনার মধ্যে আন্তঃজেলা বাস এবং বিমান চলাচলের নির্দেশনা দিয়েছে।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বরিশাল বিভাগীয় সভাপতি আবুল হাসেম মাষ্টার বলেন, একই দেশে বিমান ও বাস চলাচল করলেও কেন যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল করবে না এটা বুঝতে পারছি না। দীর্ঘদিন নৌযান চলাচল বন্ধ থাকায় এর সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের পরিবার চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। খুব শিঘ্র নৌ যান চালুর দাবি জানিয়েছেন তিনি।
যাত্রীবাহি নৌযান মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মো. সাইদুর রহমান রিন্টু মুঠোফোনে বলেন, দেশে ৮০০ যাত্রীবাহি নৌযানে কমপক্ষে ৮ হাজার শ্রমিক রয়েছে। নৌযান বন্ধ থাকায় তারা সমস্যায় পড়েছে। নৌযান শ্রমিকদের বেতন বোনাস দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, নৌযান শ্রমিকদের বেতন ও বোনাসের জন্য প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে ২০ কোটি টাকা প্রনোদনা চেয়ে গত ৫ মে আবেদন জানিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা।