বরিশালে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ

বরিশালে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে পুলিশের লাঠিচার্জ

বরিশালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবে বরিশাল মহানগর এবং উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে কয়েক দফা লাঠিচার্জ করেছে পুলিশ এমন অভিযোগ বিএনপি নেতাদের। তবে পুলিশ বলেছে লাঠিচার্জ নয়, শাস্তিপূর্ণ সমাবেশ করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয় চত্ত্বরে এই বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।



ছবি এন আমিন রাসেল।

বিএনপির বিক্ষোভে যোগ দিতে বিভিন্ন স্থান থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের খন্ড খন্ড মিছিল দলীয় কার্যালয়ে যেতে চাইলে সদর রোড ও অশ্বিনী কুমার হলের সামনে তাদের ৩ দফা লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এ সময় সদর রোডে জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়। 
মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুকের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মজিবর রহমান নান্টু এবং বিশেষ বক্তা ছিলেন উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক দেওয়ান মো. শহীদুল্লাহ। 

এছাড়া মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়া, মহানগর যুবদল সভাপতি আক্তারুজ্জামান শামীমসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। দুই জেলা ও মহানগর বিএনপির সদ্য সাবেক কমিটির নেতাদের মধ্যে মহানগরীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জিয়া ছাড়া অন্য কোন নেতাদের গতকালের বিক্ষোভ সমাবেশে দেখা যায়নি। 

বক্তারা বেগম জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিদেশে সুচিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। 
বিনা উস্কানীতে পুলিশ বিএনপির মিছিলে লাঠিচার্জ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক। পুলিশ বিএনপির সঙ্গে সংঘাত বাঁধাতে চায় বলে তিনি দাবি করেন। 

ছবি এন আমিন রাসেল।

ছবি এন আমিন রাসেল।

বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করতেই মিছিলে পুলিশ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মজিবর রহমান নান্টু। 

তবে বিএনপির মিছিলে লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতয়ালী সার্কেলের সহকারী কমিশনার শারমিন সুলতানা রাখি। তিনি বলেন, বিএনপির সমাবেশ করার অনুমতি রয়েছে। তারা বড় বড় মিছিল নিয়ে সমাবেশে গেলে সদর রোডে যানজট বেঁধে যায়। জনগণের চলাচলে সমস্যা হয়। এ কারণে তাদের শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে বলা হয়েছে মাত্র। 

বিএনপির বিক্ষোভ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সদর রোডসহ আশপাশের এলাকায় মোতায়েন ছিলো বিপুল সংখ্যক পুলিশ।