বরিশালে ব্যাটারী চালিত রিক্সা আটকের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

বরিশালে ব্যাটারী চালিত রিক্সা আটকের প্রতিবাদে মহাসড়ক অবরোধ

বরিশালে ব্যাটারী চালিত রিক্সা চলাচলে পুলিশের বাঁধা সৃস্টির প্রতিবাদে করোনা এবং লকডাউন উপেক্ষা করে মহাসড়ক অবরোধ করেছে শ্রমিকরা। বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন এবং সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বুধবার (৭ জুলাই) রাত ৮টার দিকে ঢাকা-বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের নগরীর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকা অবরোধ করে তারা।

মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, সরকার কিছুদিন আগে সারা দেশে ব্যাটারী চালিত রিক্সা-ভ্যান চলাচল বন্ধের নির্দেশ দেয়। সম্প্রতি সরকার এক প্রজ্ঞাপনে কঠোর লকডাউনকালীন পায়ে চালিত রিক্সা এবং পন্যবাহি ও জরুরী যান ব্যতিত সকল যানবাহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারী করে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী গত কয়েকদিনে নগরীতে বেশ কিছু ব্যাটারী চালিত রিক্সা আটক করে পুলিশ। আটক রিক্সাগুলো ছাড়িয়ে নেয়ার চেস্টা করে বাসদ নেতা ইমরান হাবিব রুমন এবং মনিষা চক্রবর্তী। গতকাল দুপুরেও তারা ট্রাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার কার্যালয়ে গিয়ে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করে আটক ব্যাটারী চালিত রিক্সা ছেড়ে দেয়ার এবং অবাধ চলাচলে বাঁধা সৃস্টি না করার অনুরোধ জানান।

বিকেলে নগরীর চৌমাথা এলাকায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা ৩টি ব্যাটারী চালিত রিক্সা আটক করে। এ সময় তারা পুলিশের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত হলে ট্রাফিক পুলিশের এক সদস্য লাঠি উচিয়ে তাদের সেখান থেকে চলে যেতে বলে।

খবর পেয়ে বাসদ নেতা ইমরান হাবিব রুমন ও মনিষা চক্রবর্তী রাত ৮টার দিকে সেখানে গিয়ে ব্যাটারী চালিত রিক্সা আটকের প্রতিবাদ করেন এবং এই রিক্সা চলাচলে বাঁধা সৃস্টি না করার দাবী জানান। পুলিশ সরকারের নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য ব্যাটারী চালিত রিক্সা চলতে না দেয়ার কথা জানালে তারা মহাসড়কে বসে পড়ে। করোনার মধ্যে ২ শতাধিক মানুষ জড়ো করে মহাসড়ক অবরোধ করায় জরুরী ছাড়া সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

শেষ পর্যন্ত ব্যাটারী চালিত রিক্সা আটক হলে মানবিক কারনে জরিমানা কম হবে পুলিশের এমন প্রতিশ্রুতিতে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেয় বলে জানান ট্রাফিক পরিদর্শক আব্দুর রহিম।

এ বিষয়ে জানতে জেলা বাসদ সদস্য সচিব ডা. মনিষা চক্রবর্তীর মুঠোফোনে কল দেয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।