বরিশালে ভাই-ভাড়াটিয়ার হামলায় নিহতের ঘটনায় ২ ভাই কারাগারে

বরিশালে ভাই-ভাড়াটিয়ার হামলায় নিহতের ঘটনায় ২ ভাই কারাগারে

বরিশাল নগরীর বগুড়া রোডে স্টলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ভাই ও ভাড়াটিয়ার হামলায় ছোট ভাই ফরিদ হোসেন খান নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী রোজী বেগম বাদি হয়ে গত শনিবার রাতে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

গতকাল রোববার হত্যার ঘটনায় আটক দুই ভাইকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলায় নিহতের ৩ ভাই মো. শাহআলম খান, মো. মফিজুল ইসলাম নান্না খান ও মো. মজিবর রহমান খান এবং বিরোধীয় স্টলের ভাড়াটিয়া সোয়েব সিকদার আজাদকে আসামী করা হয়েছে। এদের মধ্যে শাহেআলম ও মফিজুল ইসলাম নান্না খানকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অপর দুই আসামীকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গতকাল রোববার দুপুরে তাদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম। আসামীদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের বিরুদ্ধে আদালতে রিমান্ড আবেদন করার কথা বলেন ওসি।

মামলার অভিযোগে পারিবারিকভাবে পাওয়া একটি স্টলের মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে ৩ ভাই ও ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে ইট দিয়ে মাথা থেতলে ফরিদকে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, পারিবারিকভাবে ফরিদকে বাড়ির সামনের একটি স্টল দেওয়া হয়। ওই স্টলের ভাড়া আদায় করছিলো সে। সম্প্রতি তাদের অপর ভাই শাহআলম ওই স্টলের ভাড়া নিজে আদায় করার উদ্যোগ নেয় এবং ভাড়াটিয়াকে ছোট ভাই ফরিদের কাছে ভাড়া দিতে বারণ করে। গত শনিবার সকালে ওই স্টলের ভাড়া আনতে যায় ফরিদ। এ নিয়ে স্টলের ভাড়াটিয়ার সাথে ফরিদের বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে অপর ৩ ভাই এবং ভাড়াটিয়াদের ইটের আঘাত এবং কিলঘুষিতে ফরিদ অচেতন হয়ে পড়ে। প্রতিবেশীরা তাকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।