বরিশালে মোবাইল চুরির অপবাদে শিশুর মুখে গামছা বেঁধে নির্যাতন

বরিশালে মোবাইল চুরির অপবাদে শিশুর মুখে গামছা বেঁধে নির্যাতন

বরিশালে মোবাইল চুরির অপবাদে শিশুর মুখে গামছা বেঁধে পানি ঢেলে অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার শিশুকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গত বৃহষ্পতিবার বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা নীলগঞ্জ গ্রামে নির্যাতনের শিকার হয় শিশু জুই আক্তার (৯)। শিশু নির্যাতনের ঘটনায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত ৩জনকে গ্রেপ্তার করেছে। 

জুই আক্তার ওই এলাকার বশির হাওলাদারের মেয়ে। 
আড়াই হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে প্রতিবেশী প্রভাবশালী কবির চৌকিদারের ছেলে সাইল ও তার সহযোগীরা শিশু জুই আক্তারের উপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়।

নির্যাতনের শিকার শিশু ও তার মা জানায়, শিশু জুই গত বৃহস্পতিবার বিকেলে তার মামার বাড়ির উঠোনে খেলছিলো। এ সময় একটি মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে সাইল ও তার সহযোগীয়রা শিশুটিকে তুলে নিয়ে একটি বাথরুমের ভেতরে আটকে রাখে। সেখানে শিশুটির হাত-পা বেঁধে তাকে নির্মমভাবে পেটায় তারা। এক পর্যায়ে তার মুখমন্ডলে গামছা বেঁধে নাকে-মুখে পানি ঢেলে জোড়পূর্বক মোবাইল ফোন চুরির স্বীকারোক্তি আদায় করে তারা। এ সময় শিশুটির স্পর্শকাতর বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়ে তারা শ্লীলতাহানী করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অসুস্থাবস্থায় শিশুটিকে ওইদিনই বাকেরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরদিন শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে সেখান থেকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের শাস্তি দাবি করেন স্বজনরা। 

এদিকে শিশু জুইকে নির্যাতনের ঘটনায় তার বাবা বশির হাওলাদার বাদি হয়ে গত শুক্রবার অভিযুক্ত সাইলসহ ৫ জনকে আসামী করে বাকেরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই পুলিশ অভিযুক্ত ৩জনকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অভিযোগ তদন্ত করে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম।