বরিশালে যুবকের চোখ উৎপাটনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

বরিশাল নগরের খাটখোলা কসাই খানা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে যুবকের চোখ উৎপাটনের ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে স্বজনরা। চোখ খুচিয়ে উৎপাটনের পরও সন্ত্রাসীরা বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদর্শন করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবার। তাই দ্রুত দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় নগরের আগরপুর রোডস্থ বরিশাল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে ভুক্তভোগীর ছোট বোন মুক্তা আক্তার ওই দাবি করেন।
গত ৪ ডিসেম্বর জমি জমা বিরোধের জের ধরে নগরের খাটখোলা কসাই খানা এলাকার বিশ্বাসের হোটেলের সামনে বসে হামলার শিকার হন মো. সোহাগ খান। পতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে চাবি দিয়ে আঘাত করে সোহাগ খান এর চোখ নষ্ট করে দেয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে ঢাকা প্রেরন করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছে তিনি আর দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাবেনা।
সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্যে মুক্তার আক্তার বলেন, নগরের হাটখোলা হকার্স মার্কেট এলাকার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রি মোবারক সিকদার ও তার চার ছেলের সঙ্গে জমি জমা নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিলো। হাটখোলা হকার্স মার্কেটের পাশে চরবদনা মৌজায় ভূমিহীন হিসেবে সরকারিভাবে তিন শতাংশ জমি বিগম ৩০ বছর ধরেভোগ দখল করে আসছে তারা। বিগত ৭ বছর পূর্বে ওই জমি জাল দলিলের মাধ্যমে নিজেদের দাবি করে পতিপক্ষরা। এমনকি ওই জমি থেকে তাদের উচ্ছেদের পায়তারা করে মোকারক সিকদার ও তার ছেলেরা।
ঘটনার দিন সোহাগ খান নাস্তা করার জন্য কসাই খানা বিশ্বাসের হোটেলে যায়। সেখানে মোবারক সিকদারের ছেলে নাজমুলের নির্দেশে অপর তিন ভাই আল আমিন, সাইফুল ও রাব্বি হামলা চালায়। এসময় আল আমিনের সঙ্গে থাকা মটরসাইকেলের চাবি দয়ে চোখে আঘাত করে চোখ উৎপাটনের চেষ্টা করে। পরে আবার থানা পুলিশে খবর দিয়ে সোহাগকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি আরো বলেন, চোখ উৎপাটন ও হামলার ঘটনায় ৫ ডিসেম্বর বড়ভাই মাসুম খান বাদি হয়ে বরিশাল কোতয়ালী মডেল থানায় ৪ জনকে আসামী করে এই মামলা করেন। পুলিশ নাজমুল ও রাব্বিকে আটক করলেও তারা আদালতের মাধ্যমে জামিন নিয়ে পুনরায় হুমকী ধামকী প্রদর্শন করে যাচ্ছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে হামলার শিকার যুবক সোহাগ খান বলেন, আমার স্ত্রী অন্তসত্ত্বা। আর কয়েকদিন পর আমি প্রথম সন্তানের বাবা হতে যাচ্ছি। কিন্তু সন্তানের মুখ দেখার সৌভাগ্যের আগেই সন্ত্রাসীরা আমার চোখের আলো কেড়ে নিয়েছে। যারা আমার দৃষ্টিশক্তি কেড়ে নিয়েছে আমি তাদের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চাই।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন, সোহাগ খান এর মা মাসুদা বেগম, অন্তসত্ত্বা স্ত্রী ইয়াসমীন, শ্বশুর বাবুল খান, বড় ভাই ও মামলার বাদি মো. মাসুম খান।