বরিশালে শোক দিবসের অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের মারামারি

বরিশালে জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলার নিহতের স্মরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মারামারি ঘটনা ঘটেছে।
রবিবার ২১ আগষ্ট রাত ৮টার দিকে বরিশালে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিসিসির ২১ নং ওয়ার্ডের অক্সফোর্ড মিশন রোডের সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে।
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস ও শোকাবহ আগষ্ট এ মাসব্যাপী ওয়ার্ডভিত্তিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরীর ২১নং ওয়ার্ডস্থ বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ২১আগষ্ট বিএনপি জামাতের নারকীয় গ্রেনেড হামলায় নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় বিকেলে। সভা চলাকালীন সময় সামনে দাড়ানোকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধে জড়ায় । সন্ধ্যার পরে আলোচনা সভা ও দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠান শেষ হয়।
সভা শেষে খাবার প্যাকেট বিতরন নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের হাতাহাতি এবং ঘুষাঘুষি হয়েছে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ্, বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস সহ অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ।
সভায় সভাপতিত্ব করেছেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. একেএম জাহাঙ্গীর।অনুষ্ঠান শেষে সভাস্থল ত্যাগ করেন সিটি করপোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।এর কিছু সময় পরই খাবার প্যাকেট বিতরন নিয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ২০ মিনিট ধরে চলে তাদের ধাক্কাধাক্কি, হাতাহাতি এবং কিলঘুষি। পরে সিনিয়র নেতৃবৃন্দ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।
বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ এবং ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল নেতারা এ ঘটনায় কোন বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
কোতয়ালী থানার ওসি মো. আজিমুল করিম বলেন, আওয়ামী লীগের সভার শেষ পর্যায়ে মারামারির কোন খবর পাননি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ।