বরিশালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

বরিশালে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

ফেসবুকে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের সাবেক ভিপি ও ছাত্রলীগ নেতা মঈন তুষারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাজিব হোসেন খান বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন।

সোমবার সকালে মঈন তুষারের নাম উল্লেক করে এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামী করে বরিশাল কোতয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।

মঈন তুষার প্রয়াত মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা শওকত হোসেন হিরণ অনুসারী এবং বাদি নগরীর মো. ঈশ্বরবসু রোডের আবুল হোসেন খানের ছেলে ও বর্তমান সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। মঈন তুষার দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির বাইরে আছেন।

মামলার এজাহারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, বরিশাল জেলা ছাত্রলীগ সাংগঠনিক সম্পাদক রাজিবসহ সংগঠনের অপর তিন নেতা সহ-সভাপতি আতিকউল্লাহ মুনিম, রইছ আহমেদ মান্না এবং সাজ্জাত সেরনিয়াবাতের ছবি ব্যবহার করে ‘বরিশাল উইথ এ মিশন’ (Barishal with a Mission) নামক একটি পেইজ কুরুচিপুর্ণ তথ্য শেয়ারের পাশাপাশি একটি বিকৃত ভিডিও পোস্ট করে। এবং সেখানে উল্লেখ করে এরা ‘শেরে বাংলার বংশধর’, বরিশাল নির্মাণে এই চোরদের সহযোগিতা করুন। ভিডিওটির শেষাংশে একটি কুকুরের ছবি জুড়ে দেওয়া হয়। এছাড়া এই পেইজটি থেকে তাদের নিয়ে আরও একাধিক পোস্ট দিয়ে নেতিবাচক নানান কথা তুলে ধরে।

ছাত্রলীগ নেতা রাজিব জানান, সাবেক ভিপি মঈন তুষার বিনা অনুমতিতে তাদের ছবি ব্যবহার করে এবং ‘বরিশাল উইথ এ মিশন’ নামক ওই পেইজটিতে ব্যঙ্গাত্মক রূপ দিয়ে নানান কুরুচিপুর্ণ লেখাসহ পোস্ট করেন। যা পরবর্তীতে মঈন তুষারের ‘বাংলাদেশ বাণী’ পত্রিকার ফেসবুক পেইজে চলে আসে।

এই ছাত্রলীগ নেতার অভিযোগ, সাবেক ভিপি মঈন তুষার দলীয় প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক ঘরনার নেতা-কর্মীদের ইজ্জতহরণে ছদ্মবেশ ধারণ করে ফেসবুকে অপপ্রচার চালিয়ে আসছেন। এই ঘটনায় বিচার প্রাপ্তির আশায় তিনি বাদি হয়ে সোমবার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২)/২৬ (২)২৯ (১) ধারায় মামলাটি করেন।

তবে দলীয় ঘরনার প্রতিপক্ষ রাজনৈতিকদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে কোন প্রকার অপপ্রচার চালানোর কথা অস্বীকার করেছেন মঈন তুষার। তিনি বলেন, আমি এই অপপ্রচারের সঙ্গে জড়িত নই। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক। এমনকি এর সঙ্গে আমার কোন সম্পৃক্ততা থাকলে আমকেও আইনের আওতায় নিলে আমার কোন আপত্তি নেই। আমার দাবি অহেতুক যেন কাউকে হয়রানি করা না হয়।’