বরিশালে হঠাৎ বৃষ্টি ও হঠাৎ হাওয়া

আম্পানের প্রভাবে বরিশালে আকাশ সকাল থেকে মেঘলা রয়েছে। আর হঠাৎ হঠাৎ দমকা হাওয়াও বয়ে যাওয়ার পাশাপাশি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিপাতও হচ্ছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস জানায়, বরিশালে বাতাসের স্বাভাবিক গতিবেগ ঘন্টায় রয়েছে ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার, তবে মাঝে মাঝে সর্বোচ্চ গতিবেগ ৩৫ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠছে। আর আজ বুধবার (২০ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত গেল ২৪ ঘন্টায় ৪৯ দশমিক ০৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। অপরদিকে রাতে বৃষ্টিপাতের কারণে সকাল থেকে গরম কিছুটা কমেছে।
এদিকে বরিশাল জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, জেলায় গত রাতে ১ লাখ ৪২ হাজার মানুষ এবং বিভাগীয় প্রশাসন সূত্র জানায় বিভাগে ১০ লাখ ৬৫ হাজার মানুষ আশ্রয় গ্রহণ করেছিল।
তবে ঘূর্নিঝড় আম্পান আঘাত হানতে বিলম্ব হওয়ার খবরে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের মধ্যে অনেকেই বুধবার সকালে নিজ বাড়িতে ফিরে গেছেন। কিন্তু পরিস্থিতি খারাপ হলে দ্রুত তারা আবার আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরবে বলে জানিয়েছেন ঘুর্নিঝড় প্রস্তুত কর্মসূচীর (সিপিপি) উপপরিচালক মোঃ আব্দুর রশিদ।
তিনি বলেন, বরিশালে তেমন একটা বাতাস বা বৈরি আবহাওয়া না থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে যারা এসেছেন তাদের বাড়িঘর আশেপাশে হওয়ায় অনেকেই সকালে বাড়ি গেছেন। তবে অল্প সময়ের মধ্যে আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি ঘটলে তারা ফিরে আসবেন।
তবে বাড়িতে চলে যাওয়া মানুষদের আশ্রয়কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী।
এদিকে ১০নং মহা বিপদ সংকেতের খবর ভোর থেকেই মেগাফোনে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে প্রচার করছে সিপিপি ও রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৯ মে) সকালে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হলেও দুপুরের পর থেকে তা বন্ধ হয়ে যায়। তবে রাত ১০ টার পর থেকে গোটা বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হওয়ার খবর জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এদিকে গোটা বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাগর ও নদী তীরবর্তী এলাকাসহ সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার কার্যক্রম এখনো চালানো হচ্ছে।